গোটা একটা মঞ্চ। আলো ফেলে ধাপে ধাপে হচ্ছে বিভিন্ন দৃশ্যায়ন। মাত্র ঘণ্টা খানিকের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে একটি গোটা ঘটনা। ঠিক যেন এক ছোট্ট চলচ্চিত্র। একটি নাটকের মধ্যে তাকে অভিনয়, আলোকসজ্জা, রূপসজ্জা এবং আবহ। যার মধ্য দিয়ে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় সামাজিক নানা বিষয়কে। পরিবর্তন করতে পারে গোটা সমাজের নানা দিক। তুলে ধরতে পারে সমাজের ব্যাধি, কুসংস্কার, বাস্তব নানা কথা।
advertisement
চারদিন ব্যাপী পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে বহু নাট্যগোষ্ঠী তারা নাট্য প্রদর্শন করেন। শুধু বড়দের মধ্যে নাটকের ধারা বহমান রাখতে শুধু নয়, উদ্যোগ নাট্য সংস্থার উদ্যোগে এই নাট্য উৎসবের মধ্য দিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছেও নাটকের প্রসার এবং প্রচার ঘটানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলে বুঁদ। তাদের মধ্যে নাটকের ধারণা আনতে এই উদ্যোগ।
বর্তমান নাটকে এগিয়ে আসছেন শিক্ষক, ব্যবসায়ী থেকে বহু মানুষ তবে সংখ্যাটা নিতান্তই সামান্য। তারা সমাজের মধ্যে বার্তা দিতে চাইছে সমাজ উন্নতিতে নাটকের ভূমিকা কতটা! মানুষের মনোরঞ্জনের বাইরে এসেও আদৌ কি মানুষ মনে রাখবে নাটকের গুরুত্ব কতখানি, এই নাট্য উৎসবের মধ্য দিয়ে সেই সফলতা পাবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। তবে সমাজের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই নাট্যচর্চা।
রঞ্জন চন্দ