বর্ধমান শহরের অন্যতম প্রাচীন ও পূজিত মন্দির হল লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির। রাজপরিবারের কুলদেবতা হিসাবে এই মন্দিরে দোল পূর্ণিমার দিন বিশেষ পুজোও দোল উৎসব আয়োজিত হয়। তবে, শহরের সাধারণ মানুষ দোলের দিন রং না খেলেই পরের দিন ধূমধাম করে রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন। মন্দিরটি শহরের সোনাপট্টি এলাকায় অবস্থিত এবং শতাব্দীপ্রাচীন এই রীতি আজও অটুট রয়েছে। শহরের বাসিন্দা তাপস দাস, অনুপম চক্রবর্তীদের কথায়, তাঁরাও জন্মের পর থেকেই বর্ধমানে দোলের পরের দিন রং খেলা হয় সেটাই দেখে আসছেন।
advertisement
রাজপরিবারের সিদ্ধান্ত ও রীতির প্রচলন: শোনা যায় বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদ বিশ্বাস করতেন, দোল পূর্ণিমার দিন দেব-দেবীর দোল উৎসব। তাই সেই দিনে সাধারণ মানুষের রং খেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। রাজপরিবারের এই সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে বর্ধমানের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। যদিও আজ রাজপরিবারের সেই রাজত্ব নেই, তবুও এই ঐতিহ্য সমান মর্যাদার সঙ্গে বহন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী।
আরও পড়ুন : দোলের দিন এই সময়ের মধ্যে বাড়ির তুলসিতলায় পুঁতে দিন ১ জিনিস! বাস্তুদোষ দূর হয়ে ভাসবেন টাকার বন্যায়
রঙের উৎসবে বর্ণময় বর্ধমান: দোল পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে পুজো-অর্চনা ও দোল উৎসব পালিত হওয়ার পরের দিন শহরজুড়ে শুরু হয় রঙের খেলায় মাতোয়ারা উৎসব। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ আয়োজন করা হয়, বন্ধুবান্ধব, পরিবার, আত্মীয়-পরিজন মিলে আনন্দের রঙে রাঙিয়ে তোলেন একে অপরকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্য আজও বর্ধমানের সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
