মৎস্যজীবিরা উদ্ধার করে গঙ্গার পাড়ে নিয়ে আসে সেই ডলফিনের মৃতদেহ। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসেন বন দপ্তরের আধিকারিকেরা। কী কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- অবশেষে পোষ্যকে নিয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নিজের বাড়িতে ফিরলেন শাহরুখ
মঙ্গলবার সকালে ফরাক্কার ঘাটপাড়া এলাকায় মাঝ গঙ্গায় একটি ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি ওই এলাকার মৎস্যজীবিরা ওই মৃত ডলফিনটিকে উদ্ধার করে গঙ্গার পাড়ে নিয়ে আসে। ডলফিনকে দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই এলাকায় মাঝে মধ্যেই ডলফিন দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সংখ্যায় আগের তুলনায় অনেক কম। তবে মৃত ডলফিন আগে কখনও উদ্ধার হয়নি। নদীতে মৃত ডলফিন উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসীরাও। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে বনদপ্তরের আধিকারিকেরা।
ডলফিনটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকাবাসী অরুণময় দাস বলেন, আগে গঙ্গায় প্রচুর ডলফিন থাকত। কিন্তু এখন সংখ্যায় অনেক কমে গিয়েছে। কিছুদিন আগে কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীর জলে বিষ দেওয়ায় অনেক মাছ মারা গিয়েছিল। সেই কারণেই ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক।
সেন্ট্রাল ফিশারি ব্যারাকপুরের সদস্য অর্চিমান রায় বলেছেন, জলজ জাতীয় পশু ডলফিন। তাই গঙ্গায় ডলফিনের মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ। নদীর পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ডলফিনের মৃত্যুতে গঙ্গার বাস্তু পরিবেশে প্রভাব পড়বে। কারণ নদীতে ডলফিন থাকলে নদীর বাস্তুতন্ত্র ভালো থাকে। কূ কারনে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিজেপির প্রতীক যুক্ত মাস্ক বিলিতে বাধা অভিভাবকদের
বনদপ্তরের আধিকারিক প্রভাস চন্দ্র মন্ডল বলেন, আপাতত ডলফিনটিকে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হবে ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে এবং সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।