তবে শতবর্ষ প্রাচীন স্বর্গীয় সুভাষ ঘোষের সৃষ্ট দোল যাত্রার শোভাযাত্রা আজও আগ্রহের বিষয় শান্তিপুরবাসীর কাছে, কারণ একদিকে যেমন বিভিন্ন মাটির মূর্তির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় নানা বিষয় উপস্থাপিত হয়, তেমনই থাকে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। তবে বহু প্রাচীন কালের সেই পরম্পরা অনুযায়ী শ্রীখোল থাকে। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে গবেষক এবং শিক্ষক হরেকৃষ্ণ হালদার তার সম্প্রদায়দের নিয়ে অসাধারণ কীর্তন অনুষ্ঠিত করে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার নৃত্যশিল্পীদের দারুণ সুযোগ! প্রতিভাবানদের বড় বড় মঞ্চে সুযোগ করে দিতে বিশেষ আয়োজন
শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয় বাজি পোড়ান। যেখানে অগ্নি সংক্রান্ত বিভিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখে শান্তিপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী উপস্থিত থাকার মধ্য দিয়ে মানুষকে মনোরঞ্জন করানো হয় আকাশে বিভিন্ন রংবেরঙের আগুনের ফুলকি দিয়ে অসাধারণ নানা উপস্থাপনা। এ প্রসঙ্গে পরিবারের সূত্র মারফত জানা যায়, সে সময় মুর্শিদাবাদ, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলার অন্যতম কুটির শিল্প ছিল এই বাজি। একদিকে যেমন তাদের রুজিরুটি তেমনই এই বাজি দেখতে আসাকে কেন্দ্র করে বসে মেলা আর সেখানেই বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধর্মের সঙ্গেই উৎসব আর সেখানেই বহু মানুষের মুখে ফোটে হাসি। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত সমস্যায় বাজি নিয়ে নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই ইচ্ছা থাকলেই সমস্ত শিল্পকলা মানুষকে দেখানো সম্ভব হয় না। উদ্বোধন করতে আসা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান, এর আগে তিনি ছবিতে দেখেছেন, তবে স্বচক্ষে এই প্রথম। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রায় মধ্যরাত্রি পর্যন্ত প্রতীক্ষায় ছিলেন আকাশ রঙিন হওয়ার প্রতীক্ষায়।
মৈনাক দেবনাথ





