ইতিমধ্যেই অঞ্চলেরই ১২ জন ডোকরা শিল্পী জিআই শংসাপত্র পেয়েছেন। এর ফলে দেশের বড় শহর, এমনকি বিদেশেও ডোকরা শিল্পের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আউশগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দ্বারিয়াপুর ডোকরা শিল্পের গ্রাম নামেই পরিচিত। মধ্যপ্রদেশের বস্তারের ৩০-৪০ জনের একটি দল ষাটের দশকে এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তখন থেকেই তাঁরা এখানে ডোকরা শিল্পের কাজ করে চলেছেন।
advertisement
অনন্য শিল্পের জন্য মিলেছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তবে বিপণনে ঘাটতি রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শিল্পের বিক্রি পর্যটক নির্ভর। আউশগ্রামের জঙ্গলে পর্যটকরা আসেন। তারাই দ্বারিয়াপুর ঘুরে যান। ঘর থেকেই বিক্রি হয় ডোকরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নজরে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ৫ লোকসভা আসন
তাই এবার পর্যটক বৃদ্ধির আশায় বুক বাঁধছেন শিল্পীরা। কয়েক জন কলকাতা বা শান্তিনিকেতনে হস্ত শিল্প মেলায় স্টল দেন। বাকিদের বিক্রি ঘর থেকেই হয়। কিছু কিছু সময় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এখানকার শিল্প সামগ্রী কিনে নিয়ে যায়। শিল্পীরা বলছেন, বিপণনের আরও ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিক সরকার। সেই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হোক।
পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার দ্বারিয়াপুরের শিল্প 'বেঙ্গল ডোকরা' নামে জিআই শংসাপত্র পেয়েছে। এর ফলে তার চাহিদা ও কদর বাড়বে। দেশ-বিদেশে রপ্তানির সুযোগ হবে।
আরও পড়ুন: 'বনকাপাশি' সজ্জায় দুর্গা প্রতিমা! এবারের পুজোয় মধ্য সৈদাবাদে নজর কাড়বে তুষার তীর্থ মণ্ডপ
জিআই সম্পর্কে সচেতন করতে দ্বারিয়াপুরে ডোকরা শিল্পীদের নিয়ে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এলাকার সব শিল্পীকেই জিআই শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রাংশ দেওয়া ও কর্মশালা গড়া হবে। গোগরা শিল্পীদের মান উন্নয়নে সব রকম চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগে মহাজনরা অনেক কম দাম দিয়ে এইসব শিল্প সামগ্রী কিনে নিয়ে অনেক চড়া দামে বিক্রি করত। সেসব অনেকটাই বন্ধ হয়েছে এখন।