পুরনো আইনে ছিল, অস্ত্রোপচার বা সার্জারির সময় যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হত এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পরিজনরা যদি অভিযোগ দায়ের করতেন তবে সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করত স্টেট মেডিকেল কাউন্সিল(SMC)। তদন্তের পর কোনও চিকিৎসক দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি পেতেন। আগে শাস্তি দেওয়া হত ২ বছরের জেল অথবা জরিমানা। কিন্তু নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনও রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু ঘটলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই চিকিৎসককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার পর যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে পাঁচ বছর এবং তার সঙ্গে জরিমানা দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গার ১০৮ রূপের এক রূপ দেবী বর্গভীমা! বিপত্তারিণী পুজোয় তাঁর মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়
এরই প্রতিবাদে এদিন রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসক এবং ছাত্ররা মিলে একটি ধিক্কার মিছিল করেন। সহকারী অধ্যাপক, রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজের পেনাল অ্যান্ড এথিক্স কমিটির সদস্য, পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলের ডাঃ স্বরূপ সাহা জানান নতুন যে আইন নিয়ে আসা হয়েছে আইন অতীব আশ্চর্যজনক। তাঁর ব্যাখ্যা, কোনও চিকিৎসক ইচ্ছে করে কোনও রোগীকে মেরে ফেলতে চান না। তবে অনেক সময় না চাইতেও রোগীর মৃত্যু হয়। সেই জন্য এত বড় শাস্তি কাম্য নয়। আর তারই প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসক এবং ছাত্ররা। তবে এইআন্দোলনের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
সৌভিক রায়