সেই নীলরতন সরকার একসময় রোগীদের কাছে ‘জীবন্ত ঈশ্বর’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের ছোট্ট একটি গ্রাম নেতড়াতে।
ওই গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ছোটবেলার গল্পকথা, রয়েছে তাঁর বাড়ি। তবে সংস্কারের অভাবে তাঁর জন্মস্থান এখন ধ্বংসের মুখে। শোনা যায়, এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের রাতে তাঁদের নেতড়ার এই ঘর ভেঙে পড়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- অপরূপ সৌন্দর্য! যত্নও বেশি লাগে না! টাকা রোজগার করুন এই ফুল ফুটিয়ে
তার পর সকালে বাবা নন্দলাল সরকারের হাত ধরে ডায়মন্ড হারবারের ঘর ছেড়েছিলেন ছোট্ট নীলরতন। চলে এসেছিলেন জয়নগরে দাদুর বাড়িতে। সেখানেই মাত্র ১৪ বছর বয়সে অসুস্থ মা থাকোমণি দেবীকে চোখের সামনে থেকে চিরবিদায় নিতে দেখেন তিনি।
এর পর তাঁর জেদ চেপে যায় ডাক্তারি পড়ার। চিকিৎসক পেশার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। বর্তমানে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের নাম তাঁর নামেই।
তিনি ভারতে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ যন্ত্র প্রথম বসিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। জীবদ্দশায় বেশ কিছুদিন তিনি শিক্ষকতা করেছিলেন। তবে চিকিৎসক হওয়ার অমোঘ টান তাঁকে আবার এই পেশায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
পরবর্তীকালে তিনি হয়ে ওঠেন রোগীদের ‘জীবন্ত ঈশ্বর’। তাঁর হাতের জাদুতে ভাল হয়ে উঠতেন রোগীরা। ১৯৪৩ সালের ১৮ ই মে আজকের দিনে আমরা তাঁকে হারাই। তাঁর মৃত্যুর পর আজও তাঁকে মনে রেখেছেন সকলেই।
আরও পড়ুন- নজরে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র, নির্বাচনের আগে জেনে নিন খুঁটিনাটি
বর্তমানে তাঁর জন্মস্থানেই মুছছে স্মৃতি। তাঁর বাড়িটি সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জায়গায় জায়গায় জন্মেছে গাছ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে সম্পূর্ণ বাড়িটি নষ্ট হয়ে যাবে।
যদিও এই বাড়ি এখন দেখভাল করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনিও চান এই স্থান আবার আগের গরিমা ফিরে পাক।
নবাব মল্লিক