চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার পানিহাটির দেশবন্ধু নগরে৷ এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস হার্নিয়া অপারেশন করানোর জন্য পানিহাটি হাসপাতালে যান৷ সেই হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাস ওই রোগীকে তাঁর নার্সিং হোমে অস্ত্রোপচার করানোর কথা বলেন৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই অস্ত্রোপচার করানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন ওই চিকিৎসক৷ সেই মতো ওই নার্সিং হোমেই ভর্তি হন বিশ্বজিৎবাবু৷ নির্দিষ্ট দিনে তাঁর অস্ত্রোপচারও করেন চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাস৷
advertisement
কিন্তু অস্ত্রোপচারের কিছু দিন পর ওই রোগী খেয়াল করেন, শরীরের যে অংশে হার্নিয়া ছিল সেই জায়গাটি ফের উঁচু লাগছে৷ ধীরে ধীরে সেখানে ফের ব্যথা বাড়তে থাকে৷ অভিযোগ, এর পর বার বার নার্সিংহোমের মালিক চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাসকে বিষয়টি জানালেও তিনি রোগীকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকেন৷
আরও পড়ুন: আশঙ্কাজনক সৌগত রায়! শ্বাসনালিতে সংক্রমণ, আর কী কী সমস্যায় কাবু প্রবীণ সাংসদ?
এর পর ওই রোগীর সমস্যা বাড়তে থাকলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ফের বিশ্বজিৎবাবুর ইউএসজি করানো হয়৷ ইউএসজি রিপোর্টে দেখা যায়, হার্নিয়া হার্নিয়ার জায়গাতেই রয়েছে৷ তার বদলে বিশ্বজিৎবাবুর অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করে দেওয়া হয়েছে৷
ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, যেহেতু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়া অপারেশনের টাকা পাওয়া যায় না, তাই টাকা হাতাতে জেনেশুনেই হার্নিয়ার বদলে ওই রোগীর অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দাস৷ এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওই রোগী৷ ভুল অপারেশন হওয়ায় এখন কার্যত গৃহবন্দি অবস্থা তাঁর৷ এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন৷ বাধ্য হয়ে ওই রোগী এবং তাঁর পরিবার এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন৷ যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও রোগী এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হন৷