কোনটি আসল কান্ড তার খোঁজেই বেশ কিছুটা সময় পার করে ফেলেন পর্যটক। যতদিন গড়াচ্ছে ততই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এই দৈত্যাকার বটগাছ।
হয়ত বহুবার এই উদ্যানে আপনিও হাজির হয়েছেন। কিন্তু জানেন কি এই গাছের মূল কাণ্ড কোনটি, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে,আদৌ এখনও জীবিত আছে সেই কাণ্ড? জানা যায়, এই গাছের মূল কাণ্ড ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোয় এবারে বিরাট চমক! উদ্বোধনের আগেই ঠাকুর দেখুন চুটিয়ে, ব্যাপারটা কী জানুন
রবার্ট কিড, যিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর ব্রিটিশ অফিসার ছিলেন, ১৭৮৭ সালে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে হাওড়া শিবপুরে ২৭৩ একর জমির উপর তৈরি এই উদ্যান। এই গার্ডেন পূর্বে ‘ কোম্পানি বাগান ‘ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস উদ্ভিদ উদ্যান নামে পরিচিত। এখানে ১২০০০ বেশি গাছের প্রজাতি রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উদ্ভিদ এখানে সংরক্ষিত রাখা রয়েছে। বর্তমানে সংরক্ষণ গবেষণা এবং শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বা পর্যটকদের আনন্দ দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে এই উদ্যানে।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস উদ্ভিদ উদ্যানে বিখ্যাত বটগাছের মূল কাণ্ড বর্তমানে নেই। তা বেশিরভাগ মানুষের জানা, আবার অনেকই এই সত্যটি জানেন না। মাটি থেকে লম্বা সারিবদ্ধ অসংখ্য যে কান্ড গুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি একটিও প্রধান বা মূল কাণ্ড নয়। প্রায় ১০০ বছর আগে ছত্রাক জনিত কারণে, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বিখ্যাত এই বট গাছের প্রধান কাণ্ড। ১০০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯২৫ সাল নাগাদ বিখ্যাত এই বটগাছের মূল কান্ডটি নষ্ট হয়। যেখানে প্রধান কাণ্ডটি ছিল, সাল খোদাই করা একটি কংক্রিটের ফলক তৈরি করা হয়েছে। যাতে মূল কাণ্ড কোথায় সেই স্থান নির্ণয় করা যায়। এই ফলক রয়েছে বিশাল বটগাছের মাঝামাঝি অংশে। মূল কাণ্ড নষ্ট হওয়া ফলক এর সাল অনুযায়ী ২০২৫ সালে ১০০ বছরের পূর্ণতা পায়।





