TRENDING:

Birbhum News: এর কদরই আলাদা, বাড়িতে গামছা তো ব্যবহার করেন, জানেন বাংলায় কোথায় তৈরি হয় সুতির গামছা?

Last Updated:

Birbhum News: বীরভূমের কাশীমনগর এর কথা বললেই সাধারণ মানুষ এখনও জানেন গ্রামের বাসিন্দাদের নিজের হাতের তৈরি সুতির গামছা, সুতির মশারি ও শীতের লেপের কভার তৈরির কথা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম,সৌভিক রায়: লাল মাটির জেলা বীরভূম। আর এই লাল মাটির জেলার বীরভূমের কাশীমনগর এর কথা বললেই সাধারণ মানুষ এখনও জানেন গ্রামের বাসিন্দাদের নিজের হাতের তৈরি সুতির গামছা, সুতির মশারি ও শীতের লেপের কভার তৈরির কথা। আজ থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে সেই সময় গ্রামে প্রায় এক থেকে দেড় হাজারের বেশি মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ইদানিং সেসব অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন। এখন বিকল্প উপার্জন হিসেবে বেছে নিয়েছেন সুতির থান তৈরির কাজ। কেউ আবার বিড়ি বাঁধেন, কেউ কৃষিকাজ আবার কেউ করেন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজও।
advertisement

বীরভূমের মুরারই ২ ব্লকের অন্তর্গত পাইকর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাশীমনগর গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। কয়েক হাজার মানুষের বসবাস এই গ্রামজুড়ে। এক সময় সেখানে প্রধান জীবিকা ছিল তাঁতের সুতির গামছা, মশারি তৈরি। গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁতের মাকুর খটখট শব্দ শোনা যেত সকাল শুরু হতেই। তবে বর্তমানে বেড়েছে সুতো ও অন্যান্য জিনিসের দাম। যন্ত্রে তৈরি গামছা পাওয়া যাচ্ছে হাতে তৈরি গামছার থেকে অনেক কম দামে। ফলে বিক্রি কমেছে হাতে বোনা সুতির গামছা। এখন বরং লাভ হচ্ছে সুতির থান বুনে।

advertisement

আরও পড়ুন-মাত্র ১৯ বছরে মর্মান্তিক মৃত্যু…! এক বছরে ১২টি সুপারহিট ছবি, রেকর্ড ভাঙতে পারেননি কেউ, বলিউড কাঁপিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী, চিনতে পারছেন?

থান প্রস্তুতকারক কাশীমনগর দক্ষিণ মধ্যপাড়ার বাসিন্দা জসিমুদিন শেখ বলেন, আগে ‘গামছা ১ পাট বুনে, চারটে গামছা হত। তাতে পাওয়া যেত ১০ টাকা। এখন সাড়ে ১২ মিটার থান বুনে ৩৩৮ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। এটা বুনতে সময় লাগে এক বা দু’দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক সময় এই তাঁতের সুতির গামছা বুনে ফেরি করেও বিক্রি করে এসেছি গ্রামে গ্রামে। এখন গামছা আর বুনি না। এখন সুতির থান বুনে বহরমপুরে দিয়ে আসি।’

advertisement

আরও পড়ুন-প্রস্রাব করলেই জ্বালাপোড়া, তলপেটে অসহ্য ব্যথা হয়? পুষ্টির ‘খনি’ এটি…! রোজ ১টা করে খেলেই মিরাকেল, কমায় খারাপ কোলস্টেরলও

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চাঁদের পাহাড় দেখেছিল শংকর, মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরি শিখরে পা রাখল পাঁশকুড়ার অর্পিতা
আরও দেখুন

গ্রামের আরও এক বাসিন্দা আবুদার শেখ বলেন, ‘আমার মা আগে বুনতেন গামছা, আমিও নিজের কাজে ফাঁকে হাত লাগাতাম। কিন্তু এখন গামছা বুনে লাভ নেই, ওতে সংসার চলবে না। এখন আমার মা সুতির থান বোনেন, নতুন প্রজন্মের আর কেউ আসবে না এই পেশায়।’ পাইকর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আনজুড়া বিবি বলেন, ‘যন্ত্রে তৈরি গামছা অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, ফলে হাতে তৈরি সুতির গামছার কদর কমেছে। সুতোর দাম বেড়েছে, গামছার দাম বাড়ায় বিক্রি হয় না। এখন গ্রামের ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ির সদস্য থান বোনেন।’ এমন ভাবেই দিনের পর দিন উপার্জনের রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News: এর কদরই আলাদা, বাড়িতে গামছা তো ব্যবহার করেন, জানেন বাংলায় কোথায় তৈরি হয় সুতির গামছা?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল