কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, গুপ্তিপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গাপূজা দেখতে আসেন সেখানেরি একটি জমিদার বাড়িতে। সেইসময়ের জমিদার গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। তাদেরকে ঠাকুর দেখতে দেওয়া হয় না জমিদার বাড়ির। সেই সময় গ্রামের বেশ কিছু তরুণ এগিয়ে আসেন নিজেদের পুজো করার জন্য। আজ থেকে ২৭০ বছর আগে ১২ বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন শ্রী শ্রী বৃন্দবাসিনী জগদ্ধাত্রী মাতার পুজো। ইতিহাস রচনা করেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম বারোয়ারির।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে চান? ঘরের এই জিনিসটি কেনার আগে দেখুন, ম্যাজিকের মতো কমবে বিল
হুগলি গেজেট থেকে শুরু করে বেঙ্গল গেজেট, ও নানান নামজাদা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে অবিভক্ত বাংলার প্রথম বারোয়ারির ইতিহাসের কথা। ১৮২০ সালে দি ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া নামক সংবাদপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয় গুপ্তিপাড়ার বৃন্দবাসিনী প্রথম বারোয়ারির কথা।
গুপ্তিপাড়ার বৃন্দবাসিনী জগদ্ধাত্রী পূজা শক্তি ও বৈষ্ণবের এক মেলবন্ধন। বারোয়ারির সৃষ্টিকর্তা বলাগর বৃন্দবাসিনী বারোয়ারির বর্তমানের অবস্থা খুবই সংকট জনক। পুজোর ঐতিহ্য ও ইতিহাস বহাল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন পূজা উদ্যোক্তারা। একইসঙ্গে তাদের দাবি প্রথম বারোয়ারি হওয়ার জন্য সরকার যদি তাদের কিছু স্বীকৃতি দেয়।
রাহী হালদার