শহর ছাড়িয়ে কোলাহলমুক্ত এই জায়গা যেন এখন শহুরে মানুষের কাছে এক অন্যতম ডেস্টিনেশন। চা সকলের এক প্রিয় পানীয়। গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো এত সুন্দর এক আবহ আর হয় না। তাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং চায়ের স্বাদ নিতে বহু মানুষ আসেন এখানে।
advertisement
মূলত বিকেলেই খোলে এই চায়ের দোকান। পরিচিত সমীর দার চায়ের দোকান হিসাবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর থেকে অনতি দূরে কংসাবতী নদীর পাড়ে সমীর আগুয়ানের চায়ের দোকান। মূলত গরম দুধের চায়ের সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশ এক আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, মূলত রবিবার থাকে এক স্পেশাল ঘুগনি। যার স্বাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। দোকানের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। এই কংসাবতী একটা সময়ে পাড় ভাঙে, কখনও আবার ভয়াল রূপ ধারণ করে ভয় ধরায় সাধারণ মানুষকে। তবে কংসাবতী রোজগার দেয় সমীরের।
কংসাবতী নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত এই এলাকায় আসেন বহু মানুষ। জঙ্গলমহল মেদিনীপুরের উপকণ্ঠে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী। কাঁসাই নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এবং বিকেলে নদীর এক কিনারে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে বহু মানুষ আসেন এখানে। তবে এখানে এসে সমীরের চা মাস্ট। বাঁশের মাচায় বসে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা এক অসাধারণ মুহূর্ত তৈরি করে এক বিকেলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মেদিনীপুর সদর শহর থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে এই কঙ্কাবতী। জঙ্গলমহলে চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা, এক পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী, সঙ্গে গরম চা কিংবা ঘুগনি, বিকেলের এক অসামান্য মুহূর্ত তুলে ধরে আপনার কাছে। একদিকে নদীর সৌন্দর্য অন্যদিকে মাটির দেওয়াল, ছোট্ট দোকান, ধোঁয়া ওঠা চা রোজগার দিয়েছে সমীরকে। আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে প্রিয় ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে এই জায়গা।





