আরও পড়ুনঃ রেখে দিলেই শক্ত হয়ে যাচ্ছে পিঠে? ছোট্ট এই ঘরোয়া টোটকায় মিলবে নরম পিঠেপুলি
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া- আমতা শাখার একটি রেল স্টেশন। হাওড়া থেকে কোনা এবং ডাঁসির পর ৯ নম্বর স্টেশন হল ঝালুয়ারবেড় স্টেশন। হাওড়া থেকে ঝালুয়ারবেড় পৌঁছতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট। সিঙ্গেল লাইনের এই স্টেশনের চারিদিকে সবুজ জঙ্গল ঘেরা। সারাদিনে বেশ কিছুটা সময় অন্তর ট্রেন যাতায়াত করে। সব মিলিয়ে অল্প কিছু লোকজন ওঠা নাম করেন। তারপর নিস্তব্দ ও নির্জনতায় ঢেকে থাকে স্টেশন। বড় বড় গাছ যেন মাথা নত করে রয়েছে রেল লাইনের দিকে। সারা দিন সেভাবে যাত্রী না দেখা মিললেও, শোনা যাবে পাখিদের কলরব, একই সঙ্গে ঝিঁঝিঁ পোকার উপস্থিতি, স্টেশনের চারদিক জুড়ে বুনো ফুল।
advertisement
সেই ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে রঙে বেরঙের প্রজাপতির দল। স্টেশনের দুই পারের গ্রামকে যুক্ত করেছে কালো পিচের রাস্তা। এই রাস্তা ধরে স্টেশনে ঢোকার আগেই রয়েছে লেভেল ক্রসিং। লাইন পার হলেই দুই ধারে বড় বড় বাঁশ বাগান যেন আগলে রেখেছে সরু পিচের রাস্তাকে। নিঝুম বর্ষায় অথবা শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে এই স্থান হয়ে ওঠে ঠিক যেন ডুয়ার্সের কোন পথ।তেমনি কুয়াশায় ঢাকা সকালে ঝুপ করে জ্বলে ওঠে ট্রেনর লাইট। এক পলক হলেও মনে করিয়ে দেয় ডুয়ার্সের স্মৃতি। অদ্ভুত একটা বাঁক সে কারণে হাওড়ার দিক থেকে আসা ট্রেনর মাথার আলো হঠাৎ দেখা মেলে।
আবার হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় ট্রেনটা। সব মিলিয়ে প্রকৃতির কোলে এই নিঝুম স্টেশনের সুন্দর্য উপভোগ করতে বেমালুম পার হবে বেশ কিছুটা সময়।এই স্টেশন হাওড়া জেলার মাকরদহ এর দক্ষিণে রয়েছে ১৬ নং জাতীয় সড়ক আর উত্তরে এই শান্ত নিরিবিলি প্রকৃতি ঘেরা স্থান ঝালুয়ারবেড় রেল স্টেশন। ঘন জনবসতি থেকে সামান্য দূরত্বে, রাজ্য সড়ক থেকে মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটারের পথ। স্টেশন থেকে দক্ষিণে মাকড়দহ বাজার হয়ে সামান্য দূরত্বে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।
রাকেশ মাইতি