একে একে দেহ ফিরছে বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। কেউ হারিয়েছে বাবা, কেউ হারিয়েছে স্বামী আবার কেউ হারিয়েছে তাদের বুকে আগলে রাখা সন্তানকে।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল দুনিয়ায় ঝড় আনবে Apple-এর ‘এই’ নতুন ডিভাইস
এখনও বেশ কিছু দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ট্রেন দুর্ঘটনার পাঁচ দিনও কেটে গেছে। এখনো পর্যন্ত কোনও হদিস পাওয়া যায়নি জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া সুজিত মন্ডলের দেহের। অন্যদিকে, সোনারপুরে দীপঙ্কর মন্ডল ও অক্ষয় মিস্ত্রির দেহের কোনও হদিস না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁদের পরিবার।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। যে সমস্ত দেহ আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে, চিনতে পারা সম্ভব হয়ে উঠছে না, তাদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিবার শনাক্ত করা হবে। তাই পরিবারের সদস্যরা নিজের ভাইদের খুঁজতে ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- সাবধান! Facebook-এ আসছে ‘মৃত্যুসংবাদ’, ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনিও
কেউ খুঁজছে ভাইকে, আবার কেউ খুঁজছে দাদাকে। শুধুমাত্র মৃত দেহটি শনাক্ত করার জন্য। আর যারা নিজের ভাই এবং দাদাকে চিনতে পারছে না, তাঁদের কিন্তু ফিরে আসতে হচ্ছে না। প্রশাসনের তরফ থেকে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধানের জন্য করা হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষা। আর এভাবেই জয়নগরের সঞ্জীব মন্ডলের দেহ সনাক্ত করল তার পরিবারের সদস্যরা।
সুমন সাহা