বিভিন্ন কৃষক বাজারে চাষিদের ধান কেনার সময় কুইন্ট্যাল পিছু ১ কিলো থেকে ২ কিলো বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে কোনও কোনও চাষি অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই খবর পেয়েই ভাতার কৃষক বাজারে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। এদিন জেলাশাসক উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। কথা বলেন মিল মালিকদের সঙ্গেও।পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। জেলাশাসক জানান যে, “আপনাদের ইচ্ছামত বস্তা পিছু ধান বাদ দেবেন না, আমি কৃষকদের পাশে আছি”।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দেই পছন্দ রাজ্যপালের,৪বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য
হঠাৎ করে ভাত আর কৃষক বাজারে জেলা শাসকের উপস্থিতি খুশি ভাতার এলাকার চাষিরা। তবে এদিন কোনও চাষিই ধানের খাদ বাদ দেওয়া নিয়ে জেলা শাসকের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি। জেলাশাসকও জানান, ধান কেনার প্রক্রিয়া দেখলাম। কোনও অভিযোগ নেই। সব যথাযথ নিয়ম মেনেই চলছে। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, চাষিদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই এবার একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন আর বাড়তি খাদ নেওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রথমেই ধানের ময়েশ্চার দেখে নেওয়া হচ্ছে। তারপর বিভিন্ন বস্তা থেকে স্যাম্পল হিসেবে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক কেজি পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে, এরপর কুলোয় সেই ধান ঝাড়া হচ্ছে। তা থেকে আখড়া ধুলো-বালি আলাদা করা হচ্ছে। এতে কোনও চাষির কুইন্ট্যালে তিনশো বা চারশো গ্রাম ধান খাদ হিসেবে বাদ যাচ্ছে। ধানের খাদ বিচারের এই পদ্ধতিতে সন্তোষ প্রকাশ করছেন কৃষকরাও। খাদ্য দফতরের বক্তব্য, কৃষকরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে তা নিশ্চিত করতে তাদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।