চাহিদা বাড়ছে দেওয়ালি পুতুলের। তাই কালীপুজোর আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে কুমোর পাড়ায়। মাটির মডেল তৈরি থেকে পোড়ানো, রং করায় এখন ব্যস্ত শিল্পীরা। বড়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে খুদেরা। আর এই পুতুল বানিয়ে লক্ষ্মীলাভ হয় মেদিনীপুরের কুমোরদের। উৎসব মুখর বাঙালি এখন দেবী শ্যামার আরাধনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আলোর উৎসবের আগে ব্যস্ততা কুমোর পাড়ায়। কারণ, পুরনো ছন্দে ফিরছে দেওয়ালি পুতুল। আসন্ন দীপাবলিকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির মৃৎশিল্পপাড়ায় জমজমাট প্রস্তুতি।
advertisement
আরও পড়ুন : নতুন ফাটল, নতুন দুশ্চিন্তা! সদ্য মেরামত করেছিল সেচ দফতর, সেখানেই আবার বিপত্তি
বাড়ির মূল মৃৎশিল্পীর পাশাপাশি বাড়ির সবাই একসঙ্গে মেতে উঠেছেন মাটির প্রদীপ ও দেওয়ালি পুতুল তৈরির কাজে। এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে জঙ্গলমহল কেশিয়াড়ির বেশ কিছু কুমোর পরিবার। বেশ কয়েক মাস ধরে এই দেওয়ালি পুতুল তৈরির প্রস্তুতি নেয় তারা। কেশিয়াড়ির মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, কিছু বছর আগেও বৈদ্যুতিক আলোর দাপটে মাটির প্রদীপের কদর কিছুটা কমেছিল। তবে এখন আবার নতুন করে প্রদীপের চাহিদা বাড়ছে। শুধু প্রদীপ নয়, দীপাবলির সাজসজ্জায় ব্যবহৃত নানা রকম দেওয়ালি পুতুল তৈরিতেও ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তাঁরা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রদীপ তৈরির প্রক্রিয়া অন্যান্য মাটির সামগ্রীর মতই হলেও, দেওয়ালি পুতুলগুলির বিশেষত্ব, এগুলি পুরোপুরি হাতে তৈরি। প্রথমে প্রদীপগুলিকে শুকিয়ে নেওয়া হয়, তারপর আগুনে পুড়িয়ে আকার দেওয়া হয়। এই কাজটি মূল কারিগর করে থাকেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন রঙে ও নকশায় প্রদীপ সাজিয়ে তোলেন। এই কাজে সমানভাবে হাত মেলাচ্ছেন পরিবারের মহিলা থেকে খুদে সদস্যরা। সবমিলিয়ে উৎসবের আগে কাজের আনন্দে ভরে উঠেছে মৃৎশিল্পীদের পরিবার ও পাড়া। মাটির শিল্পে পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ যেন বাংলার ঐতিহ্যকেই তুলে ধরেছে।