আরও পড়ুন: মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিজের মনে খেলছিল সে, তারপর যা হল! মর্মান্তিক পরিণতি
জঙ্গলমহলের একাধিক জেলা যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় হাতির সংখ্যা বেশি। এই জেলাগুলির একাধিক জঙ্গলে বসবাস করে দলমার হাতিরা। তবে বিভিন্ন সময়ে খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে হানা দেয় হাতির পাল। স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। হাতির হানায় কখনও ভেঙে যায় ঘর, আবার কখনও ক্ষতি হয় ফসলের। স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলকেন্দ্রিক এলাকার মানুষজন বেশ আতঙ্কিতই থাকেন সারাটা বছর। তবে জঙ্গলে না যাওয়া, হাতির স্বাভাবিক বাসস্থানে ব্যাঘাত না ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
advertisement
শুধু তাই নয়, হাতি দেখার প্রতি উৎসাহে একদম হাতির কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন যুবক-যুবতী থেকে বৃদ্ধরাও। স্বাভাবিকভাবে যেকোনও মুহূর্তে প্রাণহানিও ঘটছে। এই প্রবণতাকেও আশঙ্কার চোখে দেখছেন মন্ত্রী। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে হাতিকে উত্যক্ত করার ছবি সামনে এসেছে। কখনও হাতির পিছনে ধাওয়া করা, আবার কখনও তার কাছে গিয়ে তাকে ভয় দেখানোর ছবি সামনে এসেছে। স্বাভাবিকভাবে এই সমস্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী।
ক্রমেই জঙ্গলমহলে বাড়ছে হাতির সংখ্যা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং হাতিদের উপর নজরদারি রেখেছে প্রশাসন। শুধু তাই নয়, জঙ্গলমহলের অন্যান্য বন্যপ্রাণ রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছেন বনকর্মীরা। তবে হাতিদের বিরক্ত করা এবং অতি উৎসাহে হাতির কাছে পৌঁছে যাওয়ার বিষয়ে কড়া হাতে পদক্ষেপ নেবে বন বিভাগ।