গত কয়েক মাস ধরে জেলায় অপুষ্ট শিশুদের চিহ্নিত করার কাজ চালানো হয়। তাতে গত জুলাই মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪৪৩ টি অপুষ্ট শিশুকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সেই শিশুদের স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। পরবর্তী তিন মাসে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮৪। জেলার বেশিরভাগ ব্লকেই অপুষ্ট শিশু মিললেও জামালপুর, রায়না দুই ,কালনা দুই ব্লকের অপু শিশুর সংখ্যা বেশি রয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'স্বাস্থ্য দত্তক'। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১২৬ জনকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। জেলা সুসংগত শিশু বিকাশ প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে এমন শিশুদেরই প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য দত্তক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : দুই খুদে 'দোস্তজী’-র নিজের অঞ্চল ডোমকলের প্রেক্ষাগৃহে এ বার বন্ধুত্বের জয়গান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পুষ্টির অভাবে শিশুদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা কঠিন হয়। তাঁদের পরামর্শ, শিশু জন্মানোর আধ থেকে এক ঘন্টার মধ্যে তাকে মাতৃদুগ্ধ দিতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাতৃদুগ্ধ দেওয়া আবশ্যিক। ছয় মাস পরে বাড়ির খাবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দিতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিশুদের টিকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : সৌজন্যে 'বিরিয়ানি কাকু'! নামমাত্র দামে হাজির দুয়ারে বিরিয়ানি পরিষেবা
চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই সচেতনতার অভাবে শিশুদের কৌটোর দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে সেই খরচ বহন করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তখনই পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। তাঁরা বলছেন, ছয মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নাই। এরপর বাড়ির স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো উচিত। এ ব্যাপারে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।