প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জেলা বইমেলা শুরু হয়েছে ৭ ডিসেম্বর থেকে। সেই বইমেলাতে শনিবার বিকেলে জেলার মেধাবী যুবক যুবতীদের নিয়ে “আলাপচারিতা” করলেন জেলা পুলিশের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: সাধারণ ব্যস্ত রাস্তা, হঠাত্ বিকট শব্দ, ওপর থেকে হুড়মুড়িয়ে…রাতের অন্ধকারে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
advertisement
এদিন কলেজ মাঠে বইমেলার মাঝে এই “আলাপচারিতা” শীর্ষক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল । যেখানে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে ১৬০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা করেন পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশকর্তারা।
ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে ,কি চাইছেন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কি কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে ,সে বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন এই আধিকারিকদের সঙ্গে। যাদের বেশিরভাগটাই কেরিয়ারমুখী। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে বাধা কি, তার থেকে বেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা কীভাবে করা যাবে তা তুলে ধরেন আধিকারিকেরা। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার তাদের ওই সমস্ত সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করেন।
পুলিশ সুপার এদিন আলাপচারিত শীর্ষক এই কর্মসূচি সেরে প্রত্যেকের হাতে দু হাজার টাকার কুপন উপহার দেন। যা দিয়ে তারা প্রয়োজনীয় বই কিনতে পারেন ওই মেলা থেকে।
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন “এই সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ ও সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল সেগুলো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। এভাবেই সহযোগিতা করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আজও তাই হল । এদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা হলে সহযোগিতা করবে পুলিশ।” পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ