খড়গপুর শহরের সাউথ সাইড এলাকায় অবস্থিত রেলের ৬৭৭নং বাংলো জবরদখল করে রাখার অভিযোগ। গত ৫ বছর ধরে ওই বাংলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ খড়্গপুর ডিভিশনের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধেই! অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চ মাসেই ওই বাংলোতে থাকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলোতে থাকেন তাঁর বন্ধু তথা মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
advertisement
রেলের নোটিশ
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য কারা-অযোগ্যই বা কারা, তালিকা আছে SSC-CBI উভয়ের কাছেই’, যোগ্যদের বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর
দিলীপ ২০১৭ সাল থেকেই ওই বাংলোতে থাকেন। বন্ধু তুষারকান্তি ঘোষ তাঁকে এই বাংলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। যদিও, ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর তুষারকান্তি ঘোষ কিংবা কারো নামেই ওই ৬৭৭ নং বাংলো বরাদ্দ বা অ্যালটমেন্ট হয়নি বলে একটি আরটিআই-র জবাবে জানায় রেল। গত ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) এই বিষয়টিই প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর করা একটি আরটিআই-র জবাবের মধ্য দিয়ে। তারপরই তৈরি হয় বিতর্ক!
যদিও, ওই দিনই ডিআরএম কে.আর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” অবশেষে তা নেওয়া হল! খড়গপুর ডিভিশনের এস্টেট অফিস অ্যান্ড কোর্টের তরফে একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ওই বাংলো দখল করে আছেন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষ। এদিন এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু বাংলো খালি করার নির্দেশ দিলে হবে না। বাংলো জবরদখল করে রাখার পেনাল্টি চার্জ আদায় করতে হবে। জবরদখল জরিমানা নিতে হবে। দক্ষিণ পূর্ব রেলকে জানানো হবে এই বিষয়ে।
আবীর ঘোষাল