জয় বাংলা স্লোগানের ব্যাপারে তিনি বলেন, যদি সরকার দিতে পারে তাহলে উনি কেন দিতে পারেন না। উনি সরকারের সঙ্গে আছেন। মাই গভমেন্ট। ওনাকে বলতে হয় বিধানসভাতে। জয় বাংলা স্লোগানের পর রাজ্যপালকে দিল্লিতে ডাক পড়েছে। সে ব্যাপারে বলেন, ''আমি জানি না এই ব্যাপারে। আমার বলা সম্ভব নয়। কে ডেকেছে, কী বলেছে। আমরা জানি যার হাতে খড়ি হয়, যে অজ্ঞান। যে জানে না কিছু, পৃথিবীর সম্বন্ধে তার জ্ঞান দেওয়ার জন্য। ইনি সব জেনে গেছেন, তার আবার হাতে খড়ি, এ তো হয় না। আমাদের দেশের পদ্ধতি আছে বাচ্চাদের হাতে খড়ি হয়, কলম দেয়া হয়। হাতে খড়ি বলা হয় বাংলায়। বাকি জায়গায় বলা হয় বিদ্যা রম্ভোম। উনি তো বিদ্বান ব্যক্তি একজন। তার এই অনুষ্ঠান করে হাতে খড়ি করাটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। কে বুদ্ধি ওনাকে দিয়েছে জানি না, এগুলো করাটা ওর শোভা পায় না।''
advertisement
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে ফিরবে শীতের আমেজ? হাওয়া অফিসের রিপোর্টে বড় বদলের পূর্বাভাস
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে ফের অমিত শাহ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোড়া সভার ইঙ্গিত কোথায় কোথায়?
রাজ্যপালের অনুষ্ঠানকে বয়কট করেছে বিজেপি। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ''আমার বক্তব্য বয়কট কে কোথায় যাবে না যাবে তা অন্য জিনিস। এই ধরনের ড্রামা করাটা আমার মনে হয় রাজ্যপালের সভা পায় না। অন্যের বুদ্ধিতে উনি পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদ খুব গরিবময় পদ, সাংবিধানিক পদ। এসব ছোটখাটো ভেতরে না যাওয়া উচিত। উনি দুনিয়ার অনেক জ্ঞান জানেন। উনি বাংলায় একসময় সরকারি চাকরিতে এসেছিলেন ব্যাংকের। হয়তো বাংলা কমবেশি জানেন। আমাদের দেশেতে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। তার জন্য অনুষ্ঠান করা দরকার হয় না। ভাষা শেখাটা আমাদের দেশে একটা সিস্টেমের মধ্যে আছে। সবার শেখা উচিত, তাতে সঙ্গতি দৃঢ় হয়।''