ঘটনার সূত্রপাত ১১ জুলাই, যখন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার একটি নামী সোনার দোকানে অনলাইনে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার সোনার হার বুক করেন অমিত মান্না। দোকানের তরফে পাঠানো কিউআর কোড স্ক্যান করে সে একটি ভুয়ো ‘সাকসেসফুল পেমেন্ট’ স্ক্রিনশট তৈরি করে পাঠিয়ে দেয়। পেমেন্ট হয়েছে ভেবে দোকান কর্তৃপক্ষ গয়না পৌঁছে দেয় অমিতের ঠিকানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৬০০ কিমি দন্ডি কেটে কেদারনাথ…! শিব ভক্তের শপথ, লিটার লিটার দুধ, গঙ্গাজল ঢাললেন শম্ভুর মাথায়
কয়েকদিনের মাথায় ফের আট লক্ষ টাকার গয়নার অর্ডার দেন ওই ব্যক্তি। আবারও অনলাইন পেমেন্টের ভুয়ো স্ক্রিনশট পাঠানো হয় দোকানে। তবে এবার সাবধান হয়ে মালিকপক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করতেই দেখা যায়, আগের লেনদেনের টাকাও অ্যাকাউন্টে আসেনি। বিষয়টি বুঝেই হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে হাবড়া থানার পুলিশ। মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা ট্র্যাক করে বাগুইআটি থেকে অমিত মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাকে পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে বারাসত আদালতে তোলা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে হাবড়ার ওই দোকান থেকে প্রতারণা করে নেওয়া গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও একটি গয়না উদ্ধার হয়েছে, যা অশোকনগরের একটি সোনার দোকান থেকে একই পদ্ধতিতে প্রতারণা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন দুপুরে হাবড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বারাসাত পুলিশ জেলার অ্যাডিশনাল এসপি (হেডকোয়ার্টার) স্পর্শ নীলাঙ্গী। তিনি জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যেভাবে প্রতারণা চালানো হয়েছে, তা যথেষ্টই চিন্তার বিষয়। ব্যবসায়ীদেরও এক্ষেত্রে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি। অমিত ছাড়াও এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুভ ঢালী ও রুদ্র নারায়ণ রায়