এবার সেই অভাব পূরণে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘায় পথ চলা শুরু করল হরিণঘাটা মিট। এই সরকারি খাদ্য বিপণন কেন্দ্র দিঘা ও আশপাশের এলাকার জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল। এখানে স্বাস্থ্যসম্মত, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের মাছ, মাংস, ডিম, দুধ-সহ বিভিন্ন প্রাণিজ খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাবে এক ছাদের তলায়। ফলে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
advertisement
আরও পড়ুন: বছর ৩০-এর ছটফটে যুবতী, সেই গ্রেফতার জ*ঙ্গি সন্দেহে! বেঙ্গালুরুতে জালে আ*ল কা*য়ে*দার নেত্রী
দিঘায় অনেক পর্যটকই বাইরে খাওয়া নিয়ে নানা রকম দ্বিধায় থাকেন। রাস্তার পাশের দোকান বা হোটেলের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকেই, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে বেড়াতে এলে। এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে হাজির হয়েছে হরিণঘাটা মিট। এখানে মাংস, মাছ, ডিম ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত সামগ্রী– সবই সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষিত ও হাইজেনিক প্যাকেজিংয়ে। বিশেষ করে যারা নিজেরা রান্না করতে চান বা যারা হোটেল-গেস্ট হাউসে থেকে হালকা রান্নার উপকরণ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ হতে চলেছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ রাজ্যের পর্যটনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
.
এই উদ্যোগ শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, দিঘার স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী ও সাধারণ বাসিন্দাদের কাছেও বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠছে। তাঁরা এতদিন ধরে অস্থায়ী ও অনির্ভরযোগ্য উ ৎস থেকে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করতেন, যার ফলে খাবারের মান বজায় রাখা কঠিন হয়ে উঠত। এখন সরকার পরিচালিত হরিনঘাটা মিট থেকেই নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাবে। এতে যেমন খরচ কমবে, তেমনই পর্যটকদের প্রতিও দায়িত্ব পালন সহজ হবে। স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: অয়েল ইন্ডিয়াতে সরকারি চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, দশম-দ্বাদশ উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন! বিশদে জানুন
এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দিঘার পর্যটন অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সৈকতের শহরে যেমন প্রকৃতির নিঃসঙ্গতা উপভোগ করা যায়, তেমনই এবার পেটপুরে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাওয়াও নিশ্চিত হল। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ শুধুই একটি খাদ্য বিপণন কেন্দ্র নয়, বরং পর্যটক- সহানুভূতিশীল নীতি গ্রহণের একটি প্রমাণ। দিঘার প্রতি বছর বাড়তে থাকা পর্যটন চাহিদা এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে এমন একটি পরিকাঠামো গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
মদন মাইতি