উল্টোরথকে ঘিরেও একই রকম উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাইকে অবিরাম জয় জগন্নাথ সুরের মূর্ছনা বাজছে। এর পাশাপাশি সতর্কতামূলক বার্তা ও সরকারি উদ্যোগের কথাও প্রচার করা হচ্ছে। রথযাত্রার মত উল্টোরথ যাত্রাতেও শহরের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সব ধরনের মৌলিক পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মূল শহরের অভ্যন্তরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাখ লাখ টাকা খরচে হোমে সায়েন্স ল্যাব…! কাদের জন্য জানেন, জানলে সত্যিই স্যালুট জানাবেন
২৭ জুন থেকেই মাসিরবাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে আছে। ভক্তরা দলে দলে দেবদর্শনে আসছেন, জগন্নাথ ধামেও প্রচুর ভিড় দেখা যাচ্ছে। শনিবার দুপুরে মাসিরবাড়ির মন্দির কমিটি দশ হাজার মানুষকে বসিয়ে মহাপ্রসাদ খাওয়ানোর বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে। মাসিরবাড়ির মন্দির কমিটির সভাপতি সুশীল প্রধান জানিয়েছেন, উল্টোরথ যাত্রাকে ঘিরে সকলের মধ্যে উৎসবের উন্মাদনা তুঙ্গে। তিনি আশা করছেন, এবারও সমুদ্রনগরীর পথে অগণিত ভক্তের সমাগম ঘটবে। উল্টো রথের উৎসবে এসে দিঘায় ভক্তদের উচ্ছ্বাস। বনগাঁ থেকে আসা টুম্পা ঢালী জানান, ‘উল্টো রথের উৎসবে যোগ দিতে সপরিবারে দিঘায় এসেছি। গোটা মন্দির চত্বর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সুন্দর করে সাজান হয়েছে। দিঘায় এই রথযাত্রা উৎসব একটা বাড়তি পাওনা।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু টুম্পা ঢালী নয়, দিঘায় আসা বহু ভক্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সেরকমই আরেক জন হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে আসা বিমল পালও। জগন্নাথ ধাম সূত্র মতে, রথযাত্রার রীতি অনুযায়ী আট জুলাই পর্যন্ত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথেই অধিষ্ঠিত থাকবেন। এরপর সুনাবেশা অনুষ্ঠানে তাঁদের সোনার অলঙ্কারে সাজান হবে এবং সবশেষে নীলাদ্রি বিজয়ের মাধ্যমে তাঁরা মন্দিরের গর্ভগৃহে ফিরবেন। সব মিলিয়ে প্রথমবার দিঘায় রথযাত্রার উৎসবে আনন্দযজ্ঞের আয়োজন করেছে।
সৈকত শী