কাজুবাদাম, দুধ, চিনি ও ক্ষীরের মিশ্রণে তৈরি এই মুড়কি বাদাম এখন দিঘার প্রথম সারির মিষ্টির তালিকায়। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর মুড়কি বাদামের চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। আগে যেখানে কয়েকটি দোকানে মাত্র এই মিষ্টি মিলত। এখন পুরো সৈকত জুড়ে একের পর এক দোকানে মিলছে এই মুড়কি বাদাম। ভিড়ও সেই মতই বাড়ছে। মন্দির দর্শনের পর পর্যটকেরা মুড়কি বাদামকে ‘প্রসাদ’ হিসেবেও গ্রহণ করছেন। অনেকে মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে প্রথমেই মুড়কি বাদাম দোকানের দিকে ছুটছেন। দোকানিরা জানাচ্ছেন, দিনে কয়েকশো প্যাকেটও বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে পর্যটকেরা সামান্য স্বাদ নিতেন, এখন তারা এক কেজি–দু’ কেজি করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
দিঘার মুড়কি বাদাম বিক্রেতা তপন মাইতি বলেন, ‘আগে দিনে ২০–৩০ কেজি বিক্রি হত। এখন ৬০–৭০ কেজিও কম পড়ে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে।’ তিনি আরও জানান, দিঘা জগন্নাথ মন্দির খোলার পর পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে, আর তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে মুড়কি বাদামের বিক্রিতে। তপনবাবুর কথায়, ‘আমরা এখনও দাম বাড়াইনি। ২০০ টাকা কেজি রাখা হয়েছে যাতে সবাই সহজে কিনতে পারেন। দাম কম থাকায় ক্রেতারাও খুশি, আমরা তো বটেই।’ জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় , বেড়েছে দিঘার বিখ্যাত মুড়কি বাদামের চাহিদা। দোকানিদের দাবি, আগের তুলনায় এখন অন্তত তিনগুণ বেশি মুড়কি বাদাম বিক্রি হচ্ছে।
দাম লাগামের মধ্যে থাকায় সহজেই কিনতে পারছেন পর্যটকরা। অনেকেই মন্দির দর্শনের পরে ‘প্রসাদ’ হিসেবেও এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পরিমাণে, স্বাদে ও উপকরণের বৈচিত্র্যে অন্য অঞ্চলের তুলনায় দিঘার মুড়কি বাদাম নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। ফলে পর্যটন মরশুমে হোক বা সাধারণ সময়ে—সৈকতের দোকানগুলিতে এই মিষ্টি চাহিদা সারা বছরই থাকে।





