সকাল থেকেই দিঘার সৈকত কার্যত ফাঁকা। সাধারণত এই সময়ে পর্যটক এবং স্থানীয়রা সৈকতে ভিড় জমায়, সমুদ্রস্নান এবং বিভিন্ন জলক্রীড়ার মাধ্যমে মেতে উঠে ।কিন্তু মঙ্গলবার সমুদ্র উত্তাল এবং ঝড়ো হাওয়ার কারণে সৈকতে জনমানব শূন্য। মাঝে মাঝে সমুদ্রের ঢেউ জলোচ্ছ্বাসের আকার নিচ্ছে।
প্রশাসনও যথেষ্ট সতর্ক। সৈকতে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা উত্তাল সমুদ্রে পা ভিজাতে না নেমে পড়ে। ঝড়ো হাওয়া এবং প্রবল বৃষ্টিতে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নবান্নে চালু হল কন্ট্রোল রুম, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা হোটেলে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। সমুদ্রের পরিস্থিতি অনিয়মিত, তাই পর্যটকরা হোটেল থেকে বের হতে পারছেন না। তবে বৃষ্টির দৃশ্য অনেক পর্যটকের জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করছে। সমুদ্রের ঝুঁকি এড়াতে আমরা পর্যটকদের হোটেলে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।”
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে দিঘা ও তার আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বজায় থাকবে । এই পরিস্থিতিতে পর্যটক এবং স্থানীয়দের সমুদ্রসংলগ্ন এলাকায় সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, পুজোর আগে সাধারণত দিঘায় পর্যটক ভিড় বৃদ্ধি পায়। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কারণে হোটেলগুলোতে পর্যটকরা বন্দি থাকায় সাময়িকভাবে পর্যটন কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন যৌথভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে কিছু পর্যটক সৈকতের পাশ দিয়ে বৃষ্টির দৃশ্য উপভোগ করলেও, প্রশাসন তাদের সতর্ক করছেন যাতে কেউ সমুদ্রের বিপজ্জনক ঢেউয়ের কাছে না যায়। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার দিঘার সৈকত ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।