সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সিভিক ভলান্টিয়ার ও নুলিয়াদের বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। হোটেল বুকিং ও ভাড়ার নিয়ন্ত্রণের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের থেকে যাতে অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া না নেওয়া হয়, সেই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিটি হোটেলে ভাড়ার তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ছেড়ে বইয়ে মন! সন্ধ্যা নামলেই বইমেলায় ছুটে আসছে কচিকাঁচারা, ছোট্ট আইডিয়ায় বড় সাফল্য
দিঘার প্রবেশপথ ও শহরজুড়ে যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই পর্যটকবাহী বাস ও ছোট গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে দিঘাকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শহর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সৈকত সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে খাবারের গুণমান বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
জেলাশাসক জানান, দিঘা আমাদের রাজ্যের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। উৎসবের দিনগুলিতে আগত পর্যটকরা যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন না হন এবং তাঁরা যাতে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সমুদ্রে স্নানের সময় সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেআইনিভাবে ফুটপাথ দখল বা মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা রুখতে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
