এদিন কেন্দ্রীয় মৎস্য মন্ত্রীর সঙ্গে ফিশারি দফতরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে মন্ত্রী বলেন, সাগর পরিক্রমার মূল উদ্দেশ্য হল, ”আমি গুজরাতের কচ্ছ থেকে দিঘা মোহানা পর্যন্ত উপকূল এলাকায় বিভিন্ন মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করছি, তাদের সমস্যা শোনার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন রকম ভাবে যে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাও তারা অভিযোগ করেছেন বলে মৎস্য মন্ত্রী জানান।”
advertisement
আরও পড়ুন: তারাপীঠের কাছেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড, শুধুই কান্নার রোল! খুব সাবধানে যাবেন
এদিন দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে ডিজেলের উপর ভর্তুকি সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্যজীবীদের নিয়ে নানান যে সুযোগ সুবিধা, তারা পাচ্ছেন না বলে এমনটাই দাবি করেন। অপরদিকে ব্যাংক পিরিয়ডের সময় বহু মৎস্যজীবী আছেন তারা কর্মহীনতায় ভোগেন তাই তাদের জন্য বিকল্প কর্মের সংস্থানের কথাও তারা আবেদন রাখেন। মন্ত্রী বলেন, পিরিয়ডের সময় কেন্দ্রীয় সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য নানান সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কাণ্ডে আক্রান্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই FIR! প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ED
কিন্তু রাজ্য সরকার কেন তার প্রয়োগ করছে না, সে জন্য তিনিও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। অপরদিকে মৎস্য মন্ত্রী বলেন যাবতীয় সুযোগ সুবিধা, নানান অসুবিধা গুলি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবগত করাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন ভারত সরকার কৃষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন দলের সুযোগ সুবিধা ও প্রদান করেছে।
এদিন ডিজেল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ডিজেলের ভর্তুকি পাচ্ছেন ডিলার মালিকরা। কিন্তু মৎস্যজীবীরা সেই ভর্তুকি কেন পাচ্ছেন না তা তিনি তুলে ধরবেন বলে এদিন বৈঠকে তিনি জানান। সেই সঙ্গে মহানায়ক ড্রেজিংয়ের কাজ যাতে দ্রুত রূপায়িত হয়, তারও তিনি তদারকি করবেন বলে মৎস্যজীবীদের আশ্বাস দিয়েছেন। সংস্থার সভাপতি প্রণব কর বলেন, ”আমরা মন্ত্রীকে নানান সমস্যার কথা লিখিত আকারে দিয়েছি এবং কিছু বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে পরবর্তীকালে মৎস্যজীবীদের নানা সমস্যা নিয়ে আরও বৈঠক হবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি প্রণব কর।