ঐক্যতান ক্লাব এ বছর পা দিল ৩৪ তম বর্ষে। তিন দশক ধরে প্রতিবছরের মত এবারও অভিনবত্বের ছোঁয়া রেখেছে আয়োজকরা। প্রায় ৪০ কেজি পিতল ব্যবহার করে গড়া হয়েছে মায়ের প্রতিমা।
রামনগরের চন্দনপুর এলাকার বিখ্যাত কাঁসা শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন এই পিতলের প্রতিমা। তাদের হাতে গড়া এই শিল্পকর্ম এখন রামনগরের গর্বে পরিণত হয়েছে।
advertisement
এ বছরের পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। বাজেটের বড় অংশই ব্যয় করা হয়েছে প্রতিমা ও মণ্ডপ নির্মাণে। দক্ষিণ ভারতের মন্দির স্থাপত্যের আদলে তৈরি মণ্ডপ ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের মন জয় করেছে। সূক্ষ্ম খোদাই, সোনালি রঙের আলোকসজ্জা এবং ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জা মণ্ডপটিকে দিয়েছে এক বিশেষ মাত্রা।
ঐক্যতান ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা সোমনাথ দে বলেন, “আমরা প্রতি বছরই নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এবারের ভাবনা ছিল ঐতিহ্য ও শিল্পকলার মেলবন্ধন ঘটানো। পিতলের প্রতিমা সেই চিন্তাধারারই প্রতিফলন।”
আরও পড়ুন: জলভরা-কাজু বরফি তো ছিলই, ভাইফোঁটায় এবার কী কী নতুন মিষ্টি বাজার কাঁপাচ্ছে? কেনার আগে জানুন
শুধু পুজো নয়, প্রতিবারের মতো এবছরও থাকছে আটদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচি। পিতলের প্রতিমার পাশাপাশি পুজোর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে রাতের আলোকসজ্জা। আলোর প্রতিফলনে পিতলের সোনালি প্রতিমা যেন জ্বলজ্বল করছে চারিদিকে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এ বছরের কালীপুজোয় দিঘার পথে রামনগরের ঐক্যতান ক্লাবের পিতলের মা কালীই হয়ে উঠেছে অন্যতম আকর্ষণ। শিল্পকলার নিপুণতা, ঐতিহ্যের ছোঁয়া এবং সামাজিক উদ্যোগ— সব মিলিয়ে পুজোর আবহে অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এই পিতলের প্রতিমা।