স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে এখন আসার আলো দেখাচ্ছে স্নাতক পাস বেলা। ছোট থেকেই বাবার স্নেহ পায়নি, দাদু ঠাকুমা এবং মায়ের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত, করছে চাকরিও। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সবাইকে দেখাচ্ছে আশার আলো।
আরও পড়ুন- East Medinipur West: শহরের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে, খুশি শহরবাসী
advertisement
ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছর বয়স থেকে হারিয়েছে চলার ক্ষমতা। তবে সেই থেকেই মনের অদম্য জেদ নিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। ট্রাই সাইকেলে চেপে বিদ্যালয়ে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা এমনকি কলেজে গিয়ে স্নাতক পাস করেছে সে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মলিগ্রাম অঞ্চলের পাঁচথুবি এলাকার বাসিন্দা বেলা খাতুন। ছোট থেকেই বাবা নেই। দাদু ঠাকুমা এবং মায়ের কাছে মানুষ। পাঁচ বছর বয়স থেকেই জীবন যুদ্ধে প্রতিদিন লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। কখনও হামাগুড়ি দিয়ে আবার কখনও ট্রাই সাইকেলে করে যাতায়াত করতে হয়েছে এদিক-ওদিক।
এখনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে মাথায় না নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে যান অফিস। কাজ করেন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে। মুখ্যমন্ত্রীর “দিদিকে বলো”তে ফোন করে নিজের প্রতিবন্ধকতা এবং পারিবারিক আর্থিক স্থিতিলতার কথা জানিয়ে পেয়েছে চাকরি।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে এগিয়ে চলার পথে কোনও বাধা হতে পারে না তাপ্রমাণ করেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে। বই, খাতা না কিনতে পারলেও কখনও লাইব্রেরি আবার কখনও বন্ধুদের থেকে চেয়েস্নাতক পাস করেছে সে। দুটো পায়ে জোর না থাকলেও মনের জোরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত বেলা।
Ranjan Chanda