জানা গিয়েছে, সমিতের বাড়ি পাথরপ্রতিমা ব্লকের দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুদাসপুর এলাকার পশ্চিম শ্রীধরপুরে। সমিত বিবাহিত। ঘরে তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীও রয়েছে। যুবতী কোয়েল রায় জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। বয়স প্রায় কুড়ি বছর। মোটর সাইকেলে প্রচন্ড গতিতে লক্ষীকান্তপুরের দিক থেকে মিলনমোড়ের দিকে আসছিল তাঁরা।
আরও পড়ুন : ভিন রাজ্যে গিয়ে ফের মর্মান্তিক পরিণতি পরিযায়ী শ্রমিকের! দেহ কবে ফিরবে? জানে না পরিবার
advertisement
জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেলটি গাছে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষীকান্তপুর এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট কাম হোটেলে বিভিন্ন জেলার বহু ছেলে মেয়েরা কাজ করে। মৃত নাবালকের মা এবং দিদি ও ওই নাবালকও সাংসারিক অনটনে ওই হোটেলেই কাজ করতেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাত ১টা নাগাদ নাবালক, নাবালকের দিদি, মৃত যুবতী এবং অন্য এক যুবক দু’টি মোটর সাইকেলে নিয়ে বের হন। নাবালকের মোটরসাইকেলে ছিল মৃত যুবতী কোয়েল। অন্য একটি মোটর বাইকে ছিলেন ওই নাবালকের দিদি ও এক যুবক। নাবালক যে মোটর সাইকেলটি চালাচ্ছিল সেটিই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নাবালক এবং ওই যুবতীর। ঢোলাহাট থানার পুলিশ ইতিমধ্যে দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। পুলিশ গোটা ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।