এই জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক বিগ বাজেট পুজো। থিমের পুজো থেকে সাবেকি, বনেদি বাড়ি পুজো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুজো হল দাসপুর গ্রামরক্ষী বাহিনীর সর্বজনীন শ্যামা পুজো। এখানে দশদিন ধরে পুজো চলে, সেই সঙ্গেই রয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা হলেই বসে যায় চাঁদের হাট।
advertisement
সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি গ্রামরক্ষী বাহিনী পুজো কমিটি সামাজিক কাজেও নজির গড়ে। এই পুজো ঘিরে থাকে নরনারায়ণ সেবা। যেখানে প্রায় দু’হাজার মানুষের খাওয়াদাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে কমিটি। এছাড়া পাঁচশো দুঃস্থ মানুষকে শীত নিরাময়ে কম্বল ও মশার হাত থেকে বাঁচাতে মশারি বিতরণের মতো সমাজ সেবামূলক কাজ রয়েছে তাঁদের। সেই সঙ্গেই বাচ্চাদের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হবে। অর্থাৎ সংস্কৃতি, ক্রীড়া, সামাজিক দায়িত্ব থেকে মাতৃ আরাধনা, সবেতেই সমানভাবে দৃষ্টিপাত করেন উদ্যোক্তারা। এই বছর এই পুজো দেড়শো তম বর্ষে পদার্পণ করল।
প্রসঙ্গত, দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। এই পুজো মূলত পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ওড়িশা ও বাংলাদেশে উদযাপিত হয়। কালীপুজো হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই পুজোয় দেবী কালীর আরাধনা করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দীপান্বিতা কালীপুজোর ইতিহাস প্রাচীন এবং জটিল। দেবী কালী প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি মূলত তান্ত্রিক এবং লৌকিক দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দীপান্বিতা কালীপুজোর তাৎপর্য হল শক্তির দেবী কালীর আরাধনা, যিনি অশুভ শক্তির বিনাশকারিণী। এই পুজো মানুষকে অজ্ঞতা, অন্ধকার এবং ভয় থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কালীপুজো মানুষকে শক্তি, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস দেয়।