ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় সেই বিধ্বংসী আগুন অবশ্য নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদের মুখে ২২ ঘণ্টা পর সরল পুলিশের ব্যারিকেড, লালবাজারে কমিশনারের মুখোমুখি চিকিৎসকরা
advertisement
হার্টের পেশেন্ট হওয়ায় মাঝ বয়সী দিপালী সরকার ঘুমের ওষুধ খেয়ে। সেই ঘরেই ছিলেন তার স্বামীও। হঠাৎই দেওরের চিৎকারে ঘুম ভাঙে তাদের। ফলে কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলেন স্বামী-স্ত্রী। প্রাণ ফিরে পেয়ে ভাইকে ধন্যবাদ দাদা-বৌদির।
তবে কী কারণে আগুন লাগল সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে দমকলের পক্ষ থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে ওই গুদামে। ওই গুদামে কাগজের পেটি-সহ পিচবোর্ড ও দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় আশপাশের মানুষজন। ঘন ধোঁয়ায় চার পাশ ঢেকে যায়। আর্থিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার স্থলের পাশেই বাড়ি হওয়ায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন দিপালী সরকার বলেই মনে করছেন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দুর্ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে বলেও জানান তিনি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে দমকল ও স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে।