খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ অভিযোগ করেছিলেন ঘাটালে না এসে মলদ্বীপে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেব৷ ঘাটালের সাংসদকে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'ঘাটালের মানুষ বন্যার জলে সুইমিং করবে, ঘাটালকে মাটির তলায় ডুবিয়ে রাখা হবে, উনি শুধু মাত্র শুটিং করবেন, আর নায়িকাদের নিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াবেন৷'
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে কোণঠাসা করতে কুণালে ভরসা, অধিকারী গড়ে বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল
advertisement
শুধু তাই নয়, দেবের সঙ্গে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এনামুল হকের যোগ নিয়েও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন হিরণ৷
হিরণের এই আক্রমণের পরই এ দিন ঘাটালে যান দেব৷ হিরণের কটাক্ষে চাপে পড়েই দেব ঘাটাল গেছেন, এমন পোস্টারও এ দিন দেখা যায় এলাকায়৷ ঘাটালে পৌঁছে মহকুমা শাসকের দফতরে বৈঠকও করেন তিনি৷
দেবের অবশ্য দাবি, অনেক দিন আগে থেকেই এই বৈঠক ঠিক করা ছিল৷ শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই তিনি এতদিন ঘাটাল আসতে পারেননি৷
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই পঞ্চায়েত যুদ্ধের শুরু! শুভেন্দুর গড় কাঁথিতে ডিসেম্বরে সভা অভিষেকের
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, 'হিরণ আমার খুব ভাল বন্ধু৷ কেন এরকম বলল জানি না৷ আর আমি মলদ্বীপে নয়, গ্রিসে ছিলাম৷ তবে হিরণকে আমি দোষ দিই না৷ কোথাও গিয়ে সেখানকার বিধায়ক, সাংসদকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে আক্রমণ করতেই হবে৷ এটাই তো রাজনীতি৷ গত ৯ বছরে আমি কাউকে ছোট করিনি, হিরণকেও কিছু বলতে পারব না৷ আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না৷'
হিরণকে নিজের ভাল বন্ধু হিসেবেও দাবি করেছেন দেব৷ ঘাটালের সাংসদ বরং হিরণের প্রশংসা করে বলেন, 'হিরণ যেদিন ভোটে জিতল ওকে মেসেজ করে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম৷ ও খুব ভাল কাজ করছে৷ হিরণকে নিয়ে আমার গর্ব হয়৷ ওকে আমার কিছু বলার নেই৷'
তিনি ঘাটালের পাশে থাকেন না, এই অভিযোগ উড়িয়ে দেব বলেন, 'আমিই মনে হয় প্রথম যে ঘাটালের সাংসদ হিসেবে সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলায় বক্তব্য রেখেছিলাম৷ ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্প ছাড়পত্র পেয়েছে, যদিও এখনও টাকা আসেনি৷ বন্যার সময়, কোভিডের সময় আমি ঘাটালের পাশে ছিলাম কি না, এখানকার মানুষই সবথেকে ভাল জানে৷ নিডের পকেটের টাকা দিয়ে এখানে অনেকের বাড়িও করে দিয়েছি৷'
হিরণের অভিযোগ ছিল, গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের থেকে টাকা নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন দেব{ এ দিনও দেব পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি এনুামুল হককে চেনেন না৷ দেবের পাল্টা প্রশ্ন, 'যেটা হিরণ পারে, অন্যরা পারে, আমি পারি না৷ আমার কাছে রাজনীতি মানে মানুষকে ভাল রাখা৷ হাজার হাজার লোক সামনে থাকলে, হাতে মাইক থাকলে, আবেগের বশে অনেক কিছু বলা যায়৷ কিন্তু হিরণকেও বুঝতে হবে যে সিবিআই-এর মতো ভারতবর্ষের সবথেকে বড় এজেন্সি যখন ৯ মাসের মধ্যে আমাকে দ্বিতীয়বার ডাকেনি, তখন সেরকম কিছু পায়নি৷ সিবিআই আূবার ডাকলে আবারও যাবো৷ '