প্রসঙ্গত BGBS-এর শেষ দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেউচা-পাঁচামিতে খননের কাজ শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। ফেব্রুয়ারি মাসে খনন কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সেই খনন কাজ মোটেও সহজ ছিল না প্রশাসন-এর কাছে। মাঝে খনন কার্যে বাধা আসে। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসীরা। প্রশাসনের তরফে দফায় দফায় আদিবাসিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৩২৬ একর জমিতে খননকার্য শুরু করা হয়। চাঁদা এলাকায় ভিত পুজো করে খনন শুরু হয়েছিল।
advertisement
অন্যদিকে দেউচা-পাঁচামির মাটির তলায় উন্নতমানের কয়লা আছে,খনন সমীক্ষায় তার নমুনা উঠে এসেছ। কিন্তু তার উপরে বেশ মোটা স্তর জুড়ে আছে কালো পাথর। সেই পাথর রেখে মাটির তলায় নেমে কয়লা উঠবে নাকি খোলা মুখ খনি হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে খোলা মুখ কয়লাখনির জন্য ৩৭৬ একর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় খনন করে নিশ্চিত হয়েছে বরাত পাওয়া সংস্থা পিডিসিএল। মহম্মদবাজার ব্লকের চান্দা এলাকার খুব কাছেই কয়লার স্তর আছে। তাই ১২ একর জায়গাজুড়ে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতেই খননের কাজ শুরু করে দেয় পিডিসিএল নিয়োজিত কোম্পানি।
খনন এলাকায় ১৮০টি শাল, শিমুল, মহুয়া-সহ বেশ কিছু প্রাচীন গাছ ছিল। এলাকার আদিবাসিদের সম্মান দিয়ে, তাঁদের দাবি মেনে কিছুটা দূরেই গাছগুলিকে প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। আগামী দিনে ৭০০ গাছ প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে খনন এলাকা থেকে মাটির তলায় কালো কুচি পাথরের উত্তোলন শুরু হয়েছে।এলাকাটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে পুলিশি পাহারায় ঘিরে রাখা হয়েছে।প্রশাসনিকভাবে জানা গিয়েছে, ৭০ ফুট বা ২৩ মিটার খননের পরেই কালো পাথরের কুচি উঠতে গুরু করেছে। এইভাবে পাথর উঠতে থাকলে খুব শীঘ্রই কয়লা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌভিক রায়