বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র। মশা নিয়ে বহু গবেষণা, আবিষ্কার, উদ্ভাবনী রয়েছে তাঁর। সাবেক বর্ধমান জেলা এবং রাজারহাট-নিউটাউনে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, ডেঙ্গুর মশা যেসব জায়গায় জন্মায় সেখানে গাপ্পি মাছ ছাড়া সম্ভব নয়। সাধারণত পুকুর ও নালায় মাছের চারা গুলি ছাড়া হয়েছে। তা ম্যালেরিয়া ও ফাইলেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশার লার্ভা দমনের ক্ষেত্রে গাপ্পি মাছের চারা কার্যকরি হলেও ডেঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে তা নয়। মশা নিয়ন্ত্রণে ধারবাহিকভাবে দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা প্রয়োজন।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনি কি ক্লাসিকাল ডান্সার? রেলে চাকরির দারুণ সুযোগ নিয়ে জানুন
মশা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শহর এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা পরিত্যক্ত পাত্র, গাড়ির টায়ার, গাছের কোটোর প্রভৃতি জায়গায় জমে থাকা পরিষ্কার মিষ্টি জলে ডেঙ্গির এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। অন্যত্র জমা জলে অন্যান্য মশার বংশবৃদ্ধি ঘটেছে। ডেঙ্গুর সংক্রমণ সাধারণত বর্ষাকালে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) বেশি হয়। কিন্তু এবার নভেম্বরে সংক্রমণ সর্বোচ্চ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোটা রাজ্যের জন্য সুসংবাদ, হঠাৎ পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া!
গৌতমবাবু বলেন, যে জায়গায় ৫ ফুটের কম জল রয়েছে সেখানেই এডিস মশা জন্মানোর আদৰ্শ স্থান। গভীর জলাশয়, পুকুর, নালা এলাকায় ডেঙ্গুর মশা জন্মানোর সম্ভাবনা কম। অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার জলে যেমন, পাত্রে জমে থাকা জল, গাছের কোটোর, টব, ফেলে দেওয়া নারকেলের খোলা, মাটির ভাঁড়, প্লাস্টিকের খেলনায় বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গুর মশা জন্মায়। মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফে বষার সময় থেকেই গাপ্পি, গম্বুশ মাছ ছাড়া হয়েছে। এখনও বিভিন্ন এলাকা পরিষ্টার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ব্লিচিং ছড়ানো, কীটনাশক স্প্রে করার কাজ চলছে ধারাবাহিকভাবে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।