আরও পড়ুনঃ দই মাছ খেতে পচ্ছন্দ করেন? টক দই আর মাছ কি একসঙ্গে খাওয়া উচিত? আসল সত্যিটা জানলেন আঁতকে উঠবেন
বুধবার বিকেলের পর দুর্যোগের মেঘ কাটলেও পরিবর্তন হয়নি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতির। এবার পদ্মার জল আরও বাড়তে পারে বলেই গ্রামবাসীদের সর্তক করেছে আগেই প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ও পদ্মায় চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেই তালিকায় রয়েছে লালগোলাও।
advertisement
তবে, লালগোলার তারানগরে পদ্মার জলস্তর আগের তুলনায় সামান্য বেড়েছে বলেই দাবী গ্রামবাসীদের। যার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন কাশেম সেখ, মিয়াদা বিবিরা। মাস খানেক ধরে লালগোলায় ফুঁসছে পদ্মা। পদ্মা পারের বহু বাসিন্দাই ভাঙনের ভয়ে ভিটে মাটি ছেড়েছেন। জলস্তর বৃদ্ধি হলে কী হবে তা নিয়ে ঘুম উড়েছে লালগোলার পদ্মাপারের বাসিন্দাদের।
অসহায় অবস্থায় একপ্রকার খুব্ধ কাশেম সেখ। তিনি বলেন, ত্রিপল নেই, কোন ত্রাণ জোটেনি, ঘর নেই। কোথায় যাবেন, কী করবেন? চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তারানগরে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় সরকারি ভাবে। কিন্তু সেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। ফলে গ্রামের রাস্তা যেকোনও মুহূর্তে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আর ভাঙনের আতঙ্কেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। বিধায়ক মহম্মদ আলি জানালেন যে কাজের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে কাজ শীঘ্রই চালু করা হবে। ভাঙন রোধে সরকার অনেক সচেষ্ট। জলস্তর বৃদ্ধি হচ্ছে, আমরা নজরদারি রাখছি।
তন্ময় মন্ডল