আরও পড়ুন: বাইক নিয়ে আদি গঙ্গায় গিয়ে পড়ল যুবক! তারপর…
এদিন বেলা বারোটাতেও কনকনে শীত অনুভব করেছে বীরভূমবাসী। আচমকা ঠান্ডা পড়ায় কাবু হয়ে পড়েছেন বয়স্করা। সকাল সকাল স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়ছে ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে জাঁকিয়ে শীত পড়তেই সোয়েটার, লেপ-কম্বলের চাহিদা বেড়েছে। ভিড় হচ্ছে জেলার কাপড়ের দোকান এবং লেপ- কম্বল বিক্রেতাদের কাছে।
advertisement
অন্যান্য বছর নভেম্বরের মাঝা মাঝি থেকেই বিক্রি শুরু হয় শীতবস্ত্রের। কিন্তু এবার মেঘের কারণে ডিসেম্বরের শুরুর দিকেও তাপমাত্রার পারদ খুব একটা নামেনি। ফলে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসলেও বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছিল না বস্ত্র বিক্রেতাদের। তবে হু হু করে তাপমাত্রা নামার ফলে হঠাৎই চাহিদা বেড়েছে শীতের বস্ত্র থেকে শুরু করে লেপ-কম্বলের।
সিউড়ির কোট বাজার এলাকার এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানান, দিন কয়েক আগে পর্যন্ত ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছিল না। তবে শেষ তিন দিন বিক্রির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০০ থেকে ৯০০০ টাকা। তবে গত বছর এই সময়ে দৈনিক গড়ে যা বিক্রি হত এবার সেই তুলনায় বিক্রি কিছুটা হলেও কম রয়েছে। তার মূল কারণ হচ্ছে বড় বড় শপিংমল। অন্যদিকে রামপুরহাটের এক কাপড়ের দোকানের মালিক জানান, শেষ কয়েকদিনে শীতবস্ত্র বিক্রি অন্তত ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শীতবস্ত্রের পাশাপাশি পুরানো লেপ ধুনে নতুন লেপ তৈরি করা বা নতুন বাহারি কম্বল কেনার ঝোঁকও মানুষের বেড়েছে। দোকানে দোকানে এখন নানা আকারের ও রঙের কম্বল সাজানো। রামপুরহাটের এক লেপ- কম্বলের দোকানের মালিক বলেন, নতুন লেপের বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। অধিকাংশ ক্রেতা নরম কম্বল কিনতেই বেশি পছন্দ করেন। বিয়েবাড়িতে উপহার দেওয়ার জন্যও অনেকে ওই কম্বল কিনছেন। তিনি জানান, এর পাশাপাশি প্রতিবছরই পুরানো লেপের কাপড় বদলে তুলো ধুনে তাকে নতুন করে ব্যবহার করার জন্য অনেকেই লেপ নিয়ে আসেন দোকানে। এ বারেও তেমন লেপ আসছে অনেক।
সৌভিক রায়






