পরিবার সূত্রে জানা যায় গত মাসের ১৮ তারিখ দিল্লির রোহিনী পুলিশ জেলার কে. এন কাটজু থানা ওই ছয়জনকে আটক করে। আটক হতেই তাঁরা বীরভূমের পাইকরে থাকা নিজেদের পরিবার পরীজনদের জানান, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরিবারের সদস্যেরা দিল্লিতে এসে যেন তাঁদের মুক্ত করান। এই বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যেরা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে পৌঁছানর পর কে. এন কাটজু থানা থেকে জানান হয়, বাংলাদেশি সন্দেহে যাঁদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
রাতের ট্রেনে সবাই যখন ঘুমে অচেতন, চালকরা কী কথা বলেন? ৯৯.৯৯% মানুষ জানেন না এই গোপন কথা!
কেজিপিছু ৩৫ টাকায় কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি! মাত্র ৩০ দিনেই আয় ৫০ হাজার টাকা, জানুন এই ব্যবসার উপায়!
এই ধরনের খবর পাওয়ার পরে কার্যত মাথায় বজ্রপাত হয়েছে পরিবারের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গের কোথায় থেকে তাঁদের পুশব্যাক করান হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য থানার তরফে জানান হচ্ছে না বলেই বারবার অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যেরা।তাদেরই পরিবারের এক সদস্যা বলেন, ‘‘আমরা একাধিকবার থানায় গিয়ে জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও আমার দিদি, জামাইবাবু এবং পাঁচ বছরের বোনপোর কোনও খোঁজ দেয়নি পুলিশ। আমরা ভীষণ অসহায় বোধ করছি।’’
অন্যদিকে বাংলার শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁরা এই দুই পরিবারকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেবেন। এর পাশাপাশি তিনি পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি বলেন, \”বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের এভাবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া নিছক অমানবিক নয়, এটা দেশের নাগরিকত্বের ধারণার উপরেই আঘাত।\”এই খবর পাওয়ার পরেই পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে পড়েছে চিন্তার ছায়া।
সৌভিক রায়