রাতের ট্রেনে সবাই যখন ঘুমে অচেতন, চালকরা কী কথা বলেন? ৯৯.৯৯% মানুষ জানেন না এই গোপন কথা!

Last Updated:
Train Driver: ৯৯.৯৯% মানুষ জানেন না! রাতে ট্রেন চালকেরা সারা রাত কী কথা বলেন একে অপরের সঙ্গে? চমকে যাবেন জানলে!
1/9
ট্রেনে যাত্রা করা অধিকাংশ যাত্রী যখন রাতের ট্রিপে আরামে ঘুমিয়ে থাকেন, তখন রেলের দুই চালক — লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলট — একটানা জেগে থাকেন, এবং প্রায় সারাক্ষণই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেন?
ট্রেনে যাত্রা করা অধিকাংশ যাত্রী যখন রাতের ট্রিপে আরামে ঘুমিয়ে থাকেন, তখন রেলের দুই চালক — লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলট — একটানা জেগে থাকেন, এবং প্রায় সারাক্ষণই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেন?
advertisement
2/9
তাঁরা রাত জেগে পরস্পরকে ঠিক কী বলেন? ৯৯.৯৯% মানুষই এই ব্যাপারটা জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক! 
রেলের চালক এবং তাঁর সহযোগী, রাত জেগে পরস্পরকে ঠিক কী বলেন? ৯৯.৯৯% মানুষই এই ব্যাপারটা জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক!
advertisement
3/9
রাতের নিস্তব্ধতায় যখন ট্রেন চলতে থাকে, চারপাশ অন্ধকার, যাত্রীরা ঘুমে বিভোর — হঠাৎ অন্য ট্রেন পাশ কাটালে তার শব্দ শোনা যায়, কিংবা স্টেশনে ট্রেন থামলে দূর থেকে ভেসে আসে 'চায়ে চায়ে!' ফেরির শব্দ। এমন পরিবেশেও চালকের কেবিনে কিন্তু এক মুহূর্তও নিস্তব্ধতা নেই।
রাতের নিস্তব্ধতায় যখন ট্রেন চলতে থাকে, চারপাশ অন্ধকার, যাত্রীরা ঘুমে বিভোর — হঠাৎ অন্য ট্রেন পাশ কাটালে তার শব্দ শোনা যায়, কিংবা স্টেশনে ট্রেন থামলে দূর থেকে ভেসে আসে 'চায়ে চায়ে!' ফেরির শব্দ। এমন পরিবেশেও চালকের কেবিনে কিন্তু এক মুহূর্তও নিস্তব্ধতা নেই।
advertisement
4/9
লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট দু’জনেই সময় সময় কথা বলে যান একে অপরের সঙ্গে। আর এই কথোপকথনের কারণ নিছক গল্প নয়, বরং একান্ত জরুরি ডিউটির অংশ।
লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট দু’জনেই সময় সময় কথা বলে যান একে অপরের সঙ্গে। আর এই কথোপকথনের কারণ নিছক গল্প নয়, বরং একান্ত জরুরি ডিউটির অংশ।
advertisement
5/9
প্রদীপ কুমার, রেল বোর্ডের প্রাক্তন মেম্বার (ইনফ্রাস্ট্রাকচার), জানিয়েছেন, রেললাইনে সিগন্যাল সাধারণত এক থেকে দুই কিলোমিটার অন্তর বসানো হয়। তবে কিছু স্পর্শকাতর সেকশনে এই দূরত্ব কমিয়ে ৫০০ থেকে ৮০০ মিটার করা হয়েছে।
প্রদীপ কুমার, রেল বোর্ডের প্রাক্তন মেম্বার (ইনফ্রাস্ট্রাকচার), জানিয়েছেন, রেললাইনে সিগন্যাল সাধারণত এক থেকে দুই কিলোমিটার অন্তর বসানো হয়। তবে কিছু স্পর্শকাতর সেকশনে এই দূরত্ব কমিয়ে ৫০০ থেকে ৮০০ মিটার করা হয়েছে।
advertisement
6/9
স্টেশন বা জংশনের কাছে যেখানে ট্রেনের গতি কম, সেখানে সিগন্যালের দূরত্ব আরও কমিয়ে ২০০ থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাখা হয় — কারণ সেই সব জায়গায় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে কঠিন।
স্টেশন বা জংশনের কাছে যেখানে ট্রেনের গতি কম, সেখানে সিগন্যালের দূরত্ব আরও কমিয়ে ২০০ থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাখা হয় — কারণ সেই সব জায়গায় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে কঠিন।
advertisement
7/9
প্রদীপ কুমার আরও বলেন, প্রতিটি সিগন্যালের একটি করে নম্বর থাকে। যখন ট্রেন কোনও সিগন্যাল অতিক্রম করে, লোকো পাইলট জোরে সেই নম্বরটি বলে ওঠেন। সঙ্গে বলে দেন সিগন্যালের রঙও (লাল, হলুদ, সবুজ)। এরপর সহকারী লোকো পাইলট সেই নম্বর ও রঙ আবার উচ্চারণ করে নিশ্চিত করেন যে তথ্য সঠিক ভাবে বোঝা হয়েছে।
প্রদীপ কুমার আরও বলেন, প্রতিটি সিগন্যালের একটি করে নম্বর থাকে। যখন ট্রেন কোনও সিগন্যাল অতিক্রম করে, লোকো পাইলট জোরে সেই নম্বরটি বলে ওঠেন। সঙ্গে বলে দেন সিগন্যালের রঙও (লাল, হলুদ, সবুজ)। এরপর সহকারী লোকো পাইলট সেই নম্বর ও রঙ আবার উচ্চারণ করে নিশ্চিত করেন যে তথ্য সঠিক ভাবে বোঝা হয়েছে।
advertisement
8/9
উদাহরণস্বরূপ: যদি কোনও সিগন্যালের নম্বর হয় ১০৫০ এবং সেটি সবুজ হয়, তবে লোকো পাইলট বলবেন— “সিগন্যাল ১০৫০, সবুজ।” সহকারী পাইলট বলবেন— “১০৫০, সবুজ।” এইভাবে রাতভর দু’জনের কথাবার্তা চলে শুধুই ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
উদাহরণস্বরূপ: যদি কোনও সিগন্যালের নম্বর হয় ১০৫০ এবং সেটি সবুজ হয়, তবে লোকো পাইলট বলবেন— “সিগন্যাল ১০৫০, সবুজ।” সহকারী পাইলট বলবেন— “১০৫০, সবুজ।” এইভাবে রাতভর দু’জনের কথাবার্তা চলে শুধুই ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
advertisement
9/9
রুট ম্যাপও থাকে হাতেপ্রতিটি ডিউটির আগে লোকো পাইলট একটি পূর্ণাঙ্গ রুট ম্যাপ পান। এই ম্যাপে লেখা থাকে— কোন রুট ধরে ট্রেন যাবে, কোথায় কোথায় স্টপেজ থাকবে, কত সময় থামতে হবে, কোথায় বাঁক আছে, কোন এলাকায় কত গতিতে চালাতে হবে, কোথায় শহর পড়বে, কী কী সতর্কতা মানতে হবে। এই রুট ম্যাপ অনুযায়ী চালক ট্রেন চালান — যেন কোনওভাবেই ভুল না হয়।
রুট ম্যাপও থাকে হাতে প্রতিটি ডিউটির আগে লোকো পাইলট একটি পূর্ণাঙ্গ রুট ম্যাপ পান। এই ম্যাপে লেখা থাকে— কোন রুট ধরে ট্রেন যাবে, কোথায় কোথায় স্টপেজ থাকবে, কত সময় থামতে হবে, কোথায় বাঁক আছে, কোন এলাকায় কত গতিতে চালাতে হবে, কোথায় শহর পড়বে, কী কী সতর্কতা মানতে হবে। এই রুট ম্যাপ অনুযায়ী চালক ট্রেন চালান — যেন কোনওভাবেই ভুল না হয়।
advertisement
advertisement
advertisement