জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল বওড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্ত রায়(৩৪)। শান্তর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধান কাটা হারভেস্টার মেশিনে কর্মরত ছিল শান্ত। শুক্রবার ধান কাটা মেশিন নিয়ে কাজে বেরিয়ে ছিল আর বাড়ি ফেরেনি সে। শনিবার গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায় প্রশান্তের ব্যাগ, জুতো দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শান্তের খোঁজ মেলেনি দীর্ঘক্ষণ। শান্তর মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: সৌরভ-অমিত সাক্ষাৎ পূর্বনির্ধারিতই ছিল! দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ফের শোরগোল
দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও পুরো বিষয়টি ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে জানায় তারা। অবশেষে আজ গ্রামের একটি পুকুর থেকে শান্তর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, শান্তকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় গ্রামের কয়েক জন যুক্ত বলে অভিযোগ তাঁদের। মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ভোল বদলাচ্ছে সাইক্লোন অশনি, ১০০ কিলোমিটার অবধি গতিতে বইবে ঝড়
এদিকে, চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার বিকেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জের পূর্ব কলেজ পাড়ায় অবস্থিত স্টার নার্সিং হোমে। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা নার্সিং হোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতার নাম রিয়া কর্মকার। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুন্ডিতে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শুক্রবার এই নার্সিংহোমে ভর্তি হয় রিয়া। রাতেই এক সন্তানের জন্ম দেয় সে। পরিবারের অভিযোগ, শিশু জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে রিয়ার। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বারংবার চিকিৎসক ও নার্সদের ডাকা হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। শনিবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেই ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা নার্সিং হোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। তাদের পালটা বক্তব্য চিকিৎসকদের নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ রোগীকে দিতে দেননি পরিবারের সদস্যরা। প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল রোগীকে।