২০১৮ সালের ২৯শে জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) দৌলতাবাদের (Daulatabad) বালিরঘাট ব্রিজে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল বেশ কযেক জন মানুষের প্রাণ। ভৈরব নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল যাত্রী-সহ বাস। দেখতে দেখতে চারটে বছর অতিক্রান্ত। আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রতিচ্ছবি। সকাল ৭ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত লাখো লাখো মানুষের ক্লান্তিহীন প্রহর গোনা। চারিদিকে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসতেই শুরু হল লাশের সংখ্যা গোনা। সেদিন স্থানীয় মাঝিদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েকজনকে। তারপর একে একে ৩৬ জনের নিথর মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, সম্পূর্ণ উদ্ধার কাজ হতে সময় লেগেছিল ৩দিন। সেই দুর্ঘটনায় সলিলসমাধি ঘটে ৪৬জন বাসযাত্রীর। এই দুর্ঘটনার শিক্ষা নিয়ে সকল গাড়িচালক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন হয়ে গাড়ি চালানোর বার্তা দেন দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সাদাত।
advertisement
আরও পড়ুন : নসিপুর রেলব্রিজের সমস্যা সমাধানের পথে
সে দিনের সকালের কথা মনে করলে আজও বুকের ভিতর কেঁপে ওঠে দুর্ঘটনায় মৃত ট্রাফিক পুলিশ রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর। এদিন তিনিও বালিরঘাট ব্রিজে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। বর্তমানে সামান্য রোজগার করে সংসার চালিয়ে তিন ছেলেকে মানুষ করছেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের পর পরই দুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ গৃহবধূর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার
সে দিন বাস দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে ঝাপিয়ে পড়েছিল এলাকার মৎস্যজীবী ও মাঝিরা। একে একে তাঁরাই উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছিল কয়েকজন বাসযাত্রীর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সম্মানও জানানো হয়েছিল। আজও সেই সেতু দেখলে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন প্রতিটি মানুষ। সে দিনের স্মৃতিতে আজও শিউরে ওঠেন সকলে। সকলের প্রার্থনা এইরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যেন আবার না ঘটে।