পরিবারের দাবি, সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এদিন মঙ্গলবার পোলের সঙ্গে থাকা একটি জিআই তার বাড়ির সামনে বৃষ্টিতে ভেজা মাটির মধ্যেই পড়েছিল। তবে সেই তার পড়ে থাকতে সেভাবে কেউ দেখেনি।
advertisement
বাড়ির সামনে দরজার কাছে যেতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে বছর বারোর পড়ুয়া বর্ষা নন্দী। এই বিষয়ে মৃত বাবা এবং মেয়ের আত্মীয় সীমন্ত দাস বলেন, “মেয়ে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। তারপর এসে খাওয়া দাওয়া করে ওই দরজার বাইরে যেতেই পড়ে যায়। ওর বাবা তখন ভেবেছে মেয়ে পড়ে গিয়েছে। তখনই মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ওর বাবাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। ওখানে যে ওইরকম তার পড়েছিল সেটা কেউই বুঝতে পারেনি।”
পরবর্তীতে তড়িঘড়ি গ্রামের মানুষ মাঠের মধ্যে যেখানে ট্রান্সফরমার ছিল সেখানে গিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করেন। তারপর বাবা এবং মেয়ে দুজনকেই উদ্ধার করে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদের দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ওই ছাত্রীর নাম বর্ষা নন্দী এবং তার বাবার নাম অরুণ নন্দী (৪৫) । এদিন মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ কালনা মহকুমা হাসপাতালে দুটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী