আর একটু ধনকুবের বন্ধু পাওয়া মানেই জীবনের রং এক ঝটকায় বদলের স্বপ্ন। আর সেই লোভ উপেক্ষা করতে পারছেন না অনেকেই। বিপত্তি ঘনাচ্ছে এখানেই। ভাব জমানোর কিছুদিনের মধ্যেই ফোন নম্বর আদান প্রদান। চলছে প্রাণ খুলে কথোপকথন। আজ পাতা সেই জালে পা দিতেই ক’দিন যেতে না যেতেই ফোনের ওপারে বিশেষ বন্ধু কাঁদো কাঁদো ভাবে বলছে, মহাবিপদে পড়েছি। বাঁচাতে পারবে একমাত্র তুমি। সেই বিপদ আবার হরেক ধরনের।
advertisement
আরও পড়ুন : একসপ্তাহে হাতির হানায় বলি চার! আবার প্রাণ গেল এক মহিলার, মাদারিহাটে যা হচ্ছে জানলে ভয়ে গলা শুকিয়ে যাবে
কখনও আয়কর বিভাগ মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করছে। কখনও দোকানে জিএসটি হানা হয়েছে। আবার কখনও ব্যবসায় মোটা টাকা লোকসান হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার পরিবারের লোকজন অসুস্থ, ওষুধ কেনার টাকা নেই, সেই টাকা চেয়ে করুন স্বরে আবেদন। আর প্রেমিককে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন প্রেমিকা। তবে তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছেন না, প্রেমিকের এইসব ‘মহাবিপদ’ আসলে দেওঘর গ্যাংয়ের ফাঁদ। পা দিলেই সর্বস্বান্ত। কেউ খোয়াচ্ছেন অনেকদিন ধরে কষ্ট করে সঞ্চিত অর্থ। কেউ হয়তো হারাচ্ছে প্রিয় স্বর্ণালঙ্কার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্যে একের পর এক এমন প্রতারণার ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। সতর্ক করা হচ্ছে, অ্যাপ নির্ভর বন্ধুকে অন্ধের মতো বিশ্বাস না করা। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি এক তরুণীর কাছে থেকে দেওঘর গ্যাং প্রায় ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে অনেকে আবার পরিবার ও লোকলজ্জার ভয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন না। সংবাদ মাধ্যমের নাম প্রকাশন অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, দিন দিন প্রতারণা চক্রের ঘটনা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত বীরভূম জেলা জুড়ে প্রায় ৬৮ জন এই ধরনের প্রতারণার সম্মুখীন হয়েছেন।






