পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চতুর্দিকে জলবন্দি পরিস্থিতি। হাসপাতালের ভিতরের চত্বর পর্যন্ত জলমগ্ন থাকার সেই ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও নার্স, সকলেই কীভাবে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন তা দেখানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের চারপাশে জল জমে থাকার কারণে চারিদিকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। এর ফলে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের যেমন ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছিল, ঠিক তেমনই সমস্যায় ছিলেন হাসপাতালের কর্মীরাও। এবার সেই পরিস্থিতি থেকে শীঘ্রই মুক্তি মিলতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আলো ঝলমলে রাতের আকাশ! ‘নবাবের শহরে’ চোখধাঁধানো আতশবাজি প্রদর্শনী, বাড়ি বসেই দেখুন ঝলক
লোকাল ১৮ বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পরিষ্কার করা হচ্ছে খাল। কোয়ার্টারে যাওয়ার রাস্তাও সাফ করা হচ্ছে। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধ্য হয়ে নোংরা জল পেরিয়ে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা স্বস্তি পাবেন।
বহু মানুষ এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, এই সমস্যা নতুন নয়। প্রায় প্রতি বছর বর্ষার সময় এভাবেই জল জমে থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, হাসপাতালের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি খাল। সেই খালের উপর গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ। তাছাড়া আশেপাশের বাজার ও দোকানগুলির সমস্ত আবর্জনা সরাসরি সেই খালের মধ্যেই ফেলা হয়। ফলস্বরূপ খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, জল বেরোতে পারছে না। এর ফলে হাসপাতালের সামনে ও চারপাশে খাল উপচে জল এসে পড়ছে। এবার সেই খাল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। সব অভিযোগ মেনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে চলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শারীরিক অসুস্থতা থাকলে হাসপাতালে মানুষ সুস্থ হতে আসেন। কিন্তু দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে আরও বেশি করে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছিল। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক অবধি ক্ষুব্ধ ছিলেন। মাথাচাড়া দেওয়া নানা অবৈধ নির্মাণ সম্পর্কে খবরের জেরে প্রশাসন ওয়াকিবহাল হতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হল। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে।