উখড়া গ্রামের সুভাস পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নরেশ দাসের বড় মেয়ে তিনি। বাবা ছাড়াও বাড়িতে রয়েছেন মা মৌসুমী দাস ও ছোট বোন মানসী দাস। পর্ণশ্রী-র প্রাথমিক শিক্ষা স্থানীয় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়তে ২০১৯ সালে পর্ণশ্রী পাড়ি দেন ইউক্রেনে। সে দেশের টারনোপিল শহরের টারনোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি-তে ভর্তি হন। থাকেন কলেজ সংলগ্ন হস্টেলে।
advertisement
পর্ণশ্রীর বাবা জানান, ক'দিন ধরে সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা জেনে চিন্তায় ছিলাম। তবে সত্যি সত্যি যে যুদ্ধ লেগে যাবে এটা আশা করিনি। তিনি বলেন, বাড়ির সবাই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে আসুক এটাই প্রার্থনা। মা মৌসুমী দাস জানান, ‘‘বেশ কয়েকবার মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। মেয়ে যে শহরে থাকে সেখানে এখনও যুদ্ধের আঁচ লাগেনি বলে মেয়ে জানিয়েছে।’’ তবে মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত শান্তি নেই বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন : অবশেষে উৎকণ্ঠা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে পানাগড়ের সিং পরিবার
পর্ণশ্রীদের উখড়া গ্রামের বাড়িতে ভিডিও কলে পর্ণশ্রী জানান, তাঁদের শহরে এখনও যুদ্ধ লাগেনি। তবে গতকাল রাতে শহরে সাইরেনের শব্দ শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আমরা দ্রুত হস্টেল ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম বাংকারে। পরে জানতে পারি মক টেস্টের জন্য সাইরেন বাজানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন : আগেই ঘরছাড়া মা, এ বার তিন নাবালক সন্তানকে তাড়িয়ে দিল বাবা
আরও পড়ুন : স্কুলেই কাটা হল পাঁঠা! পড়ুয়াদের ছুটির পর মদ-মাংসে জমে উঠল শিক্ষকশিক্ষিকাদের দেদার ভোজ
পরের দিন ফের হোস্টেলে ফিরে এসেছেন বলে জানান পর্ণশ্রী। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ এসেছে। দু - এক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী পোলান্ড অথবা অন্য কোন প্রতিবেশী দেশে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পর্ণশ্রী।
( প্রতিবেদন: নয়ন ঘোষ)