বুধবার সকালে এলাকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। কিন্তু ঝাড়খন্ডের পাহাড়ি জল হঠাৎ চলে আসার কারণে জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়াকে উদ্ধার করা গেলেও সাইকেল চলে যায় জলের স্রোতে। ঘটনার জেরে স্থানীয়েরা ঘুরপথে গিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঝাড়খন্ড থেকে পাহাড়ি জল নামায় জলের স্রোতে কেটে যায় নিশিন্দ্রা কাটানের রাস্তা। ফলে বিছিন্ন হয়ে পড়ে ফরাক্কা হয়ে ঝাড়খন্ড যাওয়ার যোগাযোগের ব্যবস্থা। মূলত মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে ঝাড়খন্ডের ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যোগাযোগর প্রধান রাস্তা এই নিশিন্দ্রা কাটান। ঝাড়খন্ড থেকে নিশিন্দ্রা কাটান হয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক পণ্য বোঝায় গাড়ি চলাচল করে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই নিশিন্দ্রা কাটানের জন্য স্থানীয় মানুষ ভুগছে। এখানে একটি ব্রিজের দাবি ছিল। কোনও ব্রিজ না হওয়ার কারণে প্রত্যেক বছর সমস্যায় পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ হয় গাড়ি। তাতে বহু মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়ে। ফলে সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের ।
গ্রামের বাসিন্দা স্বরূপ বর্মণ জানান, এই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়খণ্ড ও ফরাক্কার। একমাত্র এই রাস্তার উপর দিয়ে আমাদের নিত্যদিনের যাতায়াত, পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই সেই জল এই দিক দিয়ে নেমে যায়। ফলে যখন বৃষ্টি জল নামতে শুরু করে তখন এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এর জেরে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।