ধীরে ধীরে তারা বাঁকুড়া বাসি হয়ে উঠেছে কিন্তু তারা তাঁদের আচার অনুষ্ঠান বিন্দুমাত্র ছেড়ে থাকেনি। রীতি মেনেই পালিত হচ্ছে নবরাত্রি এবং আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান গুলি যেমন গারওয়া এবং ডাণ্ডিয়া অর্থাৎ লাঠি নৃত্য। মহালয়া থেকে শুরু হয় নবরাত্রি, চলে নবমী পর্যন্ত।গুজরাতি সম্প্রদায়ের প্রবীণ মানুষ জন তাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির দায়-দায়িত্ব তুলে দেন নবীন প্রজন্মের হাতে। তেমনই এক আচার অনুষ্ঠান দেখা গেল, নবরাত্রির পুজোঅর্চনা নৃত্যগীতির মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন :এমন নাচ আগে দেখেননি কখনও! শুধুমাত্র হাত দিয়ে মাত করছেন বাঁকুড়ার মেয়ে!
গুজরাটি নৃত্য বলতে , আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ডান্ডিয়া, ও গরবা নৃত্য। মহা সমারোহে পালিত হল সেগুলি। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদ থেকে শুরু হয়ে যায় এই নবরাত্রির অনুষ্ঠান। চলে নবমী পর্যন্ত । প্রতিদিনই সন্ধ্যায় ফুল ফল মিষ্টান্ন সাজিয়ে পুজোঅর্চনা করা হয়। পুরো প্যাটেল পরিবার তথা গুজরাটি সম্প্রদায়ের মানুষ ভক্তিগীতি সঙ্গে ডান্ডিয়া নৃত্য সহযোগী পুজো সম্পন্ন করেন।
পুজোর শেষে প্রসাদ বিতরণ এবং সকলে একসঙ্গেবসে সামান্য আড্ডা । যা দেখে মনে হয় যেন গুজরাতি সম্প্রদায়ের মানুষরা এই নবরাত্রিকে কেন্দ্র করে এক হয়ে উঠেছেন। সকল পরিবার এক জায়গায় জমা হন এবং বাঁকুড়াবাসির চোখে প্যাটেল ভবন তখন এক দর্শনীয় স্থান। যেন “এক টুকরো গুজরাট”।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





