বনগাঁর কালিতলা পার্কিং এলাকায় বাড়ি লীনা ও নিবৃতির। বাবা লিটন বিশ্বাস পেশায় কলের পাইপলাইন মিস্ত্রি, দিনে সাড়ে ৩০০ টাকার মজুরিতে কাজ করেন। মা কণিকা বিশ্বাস সেলাইয়ের কাজ করেন। দুই মেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে সংসার চালে। একসময় রাস্তার ধারে টাঙানো পোস্টার দেখে বাবা লিটন বিশ্বাসের মাথায় আসে মেয়েদের এই প্রশিক্ষকের কাছে ভর্তি করার কথা। তখনই তিনি দুই মেয়েকে ভর্তি করান স্থানীয় ওই নাচের স্কুলে।
advertisement
আরও পড়ুন : এবার দীপাবলিতে মাত্র ৫০ টাকায় বাড়ি সাজান অন্যভাবে, নিয়ে আসুন ‘এই’ পুতুল প্রদীপ
মাত্র এক বছরের মধ্যেই পেশাদার প্রশিক্ষক বদলে দেন দুই বোনের জীবনের ছন্দ। লীনা পড়ে কুমুদিনী গার্লস স্কুলের ক্লাস ফাইভে, আর নিবৃতি ক্লাস ওয়ানে। তাদের নাচের দলের সঙ্গে অংশ নিয়ে ইতিমধ্যেই মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন তারা। চলতি মাসের ৪ তারিখে সেমিফাইনাল অতিক্রম করে ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ‘গোল্ডেন বাটন’ পেয়ে। তাদের এই সাফল্যে আজ গর্বিত গোটা বনগাঁবাসী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে উদযাপন, ব্যানার-পোস্টারে ভরে উঠেছে রাস্তা। স্থানীয়রা বলছেন, ওরা যেন জয়ী হয়, বনগাঁর নাম সারা দেশের মঞ্চে আবারও উজ্জ্বল করে ফিরুক এই দুই বোন। সীমান্ত এলাকার প্রত্যন্ত এই শহর থেকে মুম্বাইয়ের মঞ্চে পৌঁছন এই দুই বোনের কাহিনী প্রমাণ করছে, প্রতিভার কোনও সীমান্ত নেই, শুধু দরকার সাহস, অধ্যবসায় ও একটু সুযোগ।