দাঁইহাট পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ রায় বলেন, চাষিদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের জন্য আমরা অভিযুক্তদের ডেকে কথা বলেছি। জল নিকাশিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত মালিকানায় জমি উঁচু করে দেওয়া হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেটা দেখছি। চরপাতাইহাট এলাকার চাষিদের বক্তব্য, নিকাশি নালার স্থায়ী ব্যবস্থা না করলে আমাদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : শহরের রাস্তা এখন ‘তেনাদের’ দখলে, তাড়াহুড়ো করলেই নির্ঘাত যমদুয়ার! দুর্গাপুরে হচ্ছেটা কী?
অন্যদিকে অভিযুক্ত জমি মালিক বলেন, নিকাশি নালার উপর আমরা কোনও বাঁধ দিইনি। আমরা জমি ছেড়ে রেখেছি। আমাদের পরিবারের উপর অহেতুক দোষ চাপিয়ে সম্মানহানি করা হচ্ছে৷ বিগত বছর দুয়েক ধরে নিকাশি নালার সমস্যার কারণে দাঁইহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাইহাট এলাকার কয়েকশ বিঘা কৃষিজমি জলের তলায় চলে যায়। জমিতে থাকা ধান,পাট, ঢেঁরস, বেগুন, পটল, লঙ্কা সহ অন্যান্য সবজি জমা জলে পচে নষ্ট হয়। বেরা, একাইহাট সহ চরপাতাইহাটের বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির নালার উপর স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডল বাঁধ দিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : শিল্পীদের রুদ্রতাণ্ডব…! ছৌঁ নাচ দেখলেও কালিকাপাতাড়ি সম্পর্কে ক’জন জানেন?
জানা গিয়েছে, ভুক্তভোগী চাষিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিলীপ মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডলকে বার বার অনুরোধ করে কোনও সুরাহা না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযুক্ত প্রদীপ মণ্ডল বলেন, জল নিকাশিতে আমি কোনও বাধা দিইনি। আমার জায়গা ছেড়ে রেখেছি। ১৪ বছর আগে আমি জমি কিনেছি। তখন সমস্য ছিল না। এখানে নামো জায়গায় চাষ হয়না। আমার জমিতে আমি চাষ করতে পারি না। আমি যেটুকু দিচ্ছি, বেশি কথা বললে সেটাও আমি দেব না।
আরও পড়ুন : কখনও আটকে দিচ্ছে গাড়ি, কখনও ঘুরছে চা বাগানে! গজরাজদের কাণ্ড দেখুন
বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের পুরসভায় ডাকা হয় বলে জানান পুরপ্রধান। অভিযুক্ত প্রদীপ মণ্ডল ও দিলীপ মণ্ডলদের সঙ্গে পুরপ্রধান কথা বলছেন। পুরপ্রধান প্রদীপ রায় বলেন, কাটোয়ার মহকুমা শাসক আমাকে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন। জমির মালিক প্রদীপ মণ্ডল তাঁর জায়গার ওপর মাটি দিয়ে উঁচু করে দেওয়ায় জল নিকাশিতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে একটা উপায় বের করতে হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিকাশির ব্যবস্থার জন্য কেউ কষ্ট পাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না।